এক রাজ্যে এক রাজা ছিলন। রাজার পুত্র সন্তান ছিল না। দুটি কন্যা সন্তান ছিল। রাজা মেয়েদুটিকে ভালোবাসতেন না। একদিন রাজার একটি পুত্র সন্তান হল। রাজা আনন্দে খুব খুশি হলেন। রাজা তার পুত্রকে খুব ভালোবাসতেন। খুব আদর যত্ন করতেন। তাকে খুব ভালো ভালো খাবার খাওয়াতেন। কোনো কাজই করতে দিতেন না। ছেলের যখন পাঁচ বছর বয়স তখনই তার পেট ফুলে ভুঁড়ি হয়ে গেল। সেই ভুঁড়ি নিয়ে ছেলেটা বেশি হাঁটতে পারত না। রাজা তাও কোনো কাজ করতে দিতেন না। শুধু পেট ভরে খাওয়াতেন। বাইরে ঘুরতে চাইলে পালকিতে করে নিয়ে যেতেন এইভাবেই অনেক দিন কেটে গেল। তখন ছেলেটার পনেরো বছর বয়স। ছেলেটা এত মোটা হল যে অসুখে পড়ে গেল। তখন রাজা রাজ্যের মানুষকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন। তাঁর ছেলের কথা বললেন। তখন এক প্রজা বললেন, “আমি এই রোগের ঔষধ জানি।’ এই কথা শুনে রাজা সেই প্রজাকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেলেন। সেই ভদ্রলোকটি খুবই বুদ্ধিমান ছিলেন। তিনি বললেন, “আপনার ছেলেকে প্রত্যেক দিন নিজের পায়ে হেঁটে গিয়ে এক মাইল দূরের পাহাড়ের ঝরনার জল খেতে হবে। আবার হেঁটেই ফিরতে হবে। কোনো পালকি কিংবা গাড়িতে যাওয়া যাবে না!” রাজা বললেন, “আর কোনো উপায় নেই ?’ তিনি বললেন, “না। এটা তিনমাস করতে হবে!” অন্য কছু উপায় না পেয়ে রাজা রাজি হয়ে গেলেন। এইভাবে তিনমাস রাজার ছেলে হেঁটে হেঁটে এক মাইল দূরের পাহাড়ের জল খেয়ে আসতে লাগল। তিনমাসে রাজার ছেলের ভুঁড়ি পুরো কমে গিয়ে ছেলে সুস্থ হয়ে গেল। রাজা খুব খুশি হইয়ে সেই প্রজাকে অনেক পুরস্কার দিলেন। ষষ্ঠ শ্রেণী পাটিকাবাড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়