সন্ধ্যা আর ভোর

সিমলাপাল, বাঁকুড়া

একজনের আকাশ বেঁকে গিয়েছিল পূর্বে; আরেকজন এক পৃথিবী পশ্চিম-

ওরা একে অন্যকে চায়নি। 

কিন্তু শীতটা যে বড্ড হিংসুটে - কারো শখ সয় না মোটে। 

তাই লন্ডভণ্ড করে সে গভীরের পর আরো গহীনে নীল ফুলেদের দেশ- 

নীল নদী- উপনদী, আয়ু- ভাগ্যের প্রকান্ড বক্ররেখা। 

ভুলচুক হয়ে যাওয়া সেই রেখা ধরেই থমকে গিয়েছিল পাখিদুটো নোনা কুয়াশা-বাতাসের তীরে বিঁধে হঠাৎ - 

ঠিক যেমন করে থামতে হয় সবাইকে, বসতে হয় পাশাপাশি।  

পাশাপাশি - ডানা ঝাপটে সরে সরে যেতে, মুখ তোলে ওরা বিস্ময়ে, ভয়ে, অন্ধকার হয়ে।

ধীরে ধীরে যুদ্ধ বাধে - ডানার পালকে চেপে বসে আরো অন্ধকার। 

বাকিটুকু চাপা দিয়েছে ঝড়; বাকিটুকু নিয়ে চলে গেল ঝড়। 

তারপর কবে যেন ধীরে ধীরে ডানা ঝাপটাতে চায় ওরা আবার - 

 সন্ধ্যা আর ভোর, পূর্ব আর পশ্চিমের যে একসাথে থাকতে নেই বেশিক্ষণ! 

কিন্তু ডানার উপর আলো গজিয়ে গেছে ততক্ষণে- প্রচন্ড নৈঃশব্দ! 

বিপরীতদেরই কেন চুপ করিয়ে দেয় ঝড়? 

বৈশাখী ২০২৪