একজনের আকাশ বেঁকে গিয়েছিল পূর্বে; আরেকজন এক পৃথিবী পশ্চিম- ওরা একে অন্যকে চায়নি। কিন্তু শীতটা যে বড্ড হিংসুটে - কারো শখ সয় না মোটে। তাই লন্ডভণ্ড করে সে গভীরের পর আরো গহীনে নীল ফুলেদের দেশ- নীল নদী- উপনদী, আয়ু- ভাগ্যের প্রকান্ড বক্ররেখা। ভুলচুক হয়ে যাওয়া সেই রেখা ধরেই থমকে গিয়েছিল পাখিদুটো নোনা কুয়াশা-বাতাসের তীরে বিঁধে হঠাৎ - ঠিক যেমন করে থামতে হয় সবাইকে, বসতে হয় পাশাপাশি। পাশাপাশি - ডানা ঝাপটে সরে সরে যেতে, মুখ তোলে ওরা বিস্ময়ে, ভয়ে, অন্ধকার হয়ে। ধীরে ধীরে যুদ্ধ বাধে - ডানার পালকে চেপে বসে আরো অন্ধকার। বাকিটুকু চাপা দিয়েছে ঝড়; বাকিটুকু নিয়ে চলে গেল ঝড়। তারপর কবে যেন ধীরে ধীরে ডানা ঝাপটাতে চায় ওরা আবার - সন্ধ্যা আর ভোর, পূর্ব আর পশ্চিমের যে একসাথে থাকতে নেই বেশিক্ষণ! কিন্তু ডানার উপর আলো গজিয়ে গেছে ততক্ষণে- প্রচন্ড নৈঃশব্দ! বিপরীতদেরই কেন চুপ করিয়ে দেয় ঝড়?