কম্পিউটার খারাপ হয়ে গেলে বৃদ্ধ মুহুরির মতো ঢিল ছুঁড়ি। কলম কেড়ে নিয়ে গেছে দুশমন, মাছি তাড়ানো অসহায় দুটি শুকনো বৈঠা, পুড়ছে অগ্নিবর্ষায়। কালো কোটে স্থবির মনিটর, মৌন কীবোর্ড, ঠাণ্ডা সিপিইউ। কোমর অবধি জলে নিভেছে যৌবন, আমার অক্ষরবাস নির্বাসিত পেরিয়ার জঙ্গলে। কাঠগড়ায় সেই লোকটি ফোন তোলে না। শত্রু... শত্রু... প্রতিটা কম্পিউটার-কারিগর, কথা দিয়ে রাখতে শেখেনি... টক্সিক প্রেমিকের দল, জলে নেমে যাওয়া প্রেমিকাকে আসেনি বাঁচাতে, নুলিয়ার কথা অগ্রাহ্য করে হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রেমিকার সঙ্গে নাইতে নেমেছিল। কী উত্তাল দিন সেসব! ওয়ার্ড, এক্সেল... বেহিসাব ঢেউ-মরমর দিন। অভ্র অভ্র রুপোলি যুগ। পায়রা উড়ছে যন্তরমন্তরকে বেলোয়ারি সুরে মাতিয়ে, ওয়ালপেপারে চিত্রকূট ফলস! না না সত্যি। ফলস কেন হবে! সত্যিই সাদা-কালো ডোরাকাটা প্যাঁচানো স্তম্ভে সারি সারি পংক্তি। লোনা হাওয়ায় বুকের সিডি-রাইডারে বেজে উঠত তুফানি গীতমালা... ‘তেরে মেরে বিচ মে ক্যায়সা হ্যায় ইয়ে বন্ধন’... বন্দরে বন্দরে প্রেমিকা পালটে যায়। বুড়ি প্রেমিকারা ঝগড়া করে মরে, ওঁৎ পেতে ভাইরাস জুজু, মর... মর। পাগলাটে হাওয়ায় প্রেমিকাদের সাদা চুল... ওহ! আছাড়ি-পিছাড়ি ঢেউ... তুই বেড়াল না মুই বেড়াল! সাদা লোমশ লেজ মস্ত হয়... আকাশ ফুঁড়ে গিলে খায় মাস্তুল। আজ সে আসার পরে নীল একটা চোখ দপদপ করছে। আর লাল বিন্দু ঝিমঝিম... প্রাণ আসে, প্রাণ আছে... কাতর প্রার্থনা করে উঠি - ‘তোমার অজান্তে প্রেমিকারা জাহাজি-গাছ হয়ে গেছে। তুমি নির্বিকার সারাই-কর্মী! বোবা-কালা ঈশ্বর!’