আঙুলের স্পাইনাল কর্ডে হাওয়া হতে নেমে আসে অন্য কেউ। জন্মের গোপন কথা ব'লে ছিঁড়ে দেয় আস্ত চাঁদের গদগদ জোছনা। পাল্টে যায় দেখা, বোঝা, ঘটনার পরম্পরা। এরপরই সে বলে ওঠে, “তোমাকেই খুঁজছি মজানদী, এবার চায়ের দোকান থেকে এককাপ কফি এনে দাও!” মায়া গদ্যে এভাবেই টুকিটাকি সত্যকে অনুষ্ঠানের অলঙ্কারে বদলে দিয়ে চলে যায় সে মহোৎসবে। জানি, মিথ্যে গল্পের অনেক অনেক হাত আর পা থাকে। মৃত্যুর নিরালা ঘর থেকে উঠে আসে একটা দুপুর। সেই সত্য দুপুরের কথা ভেবে ক'টা সিগারেট জ্বেলেছি তার হিসেব নিতে গেলে অন্য সব হিসেবের মতো ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়। তার চেয়ে বরং হেলে পড়া সূর্যকে দু'হাত ভ'রে নতুন চোখ এঁকে দিই আর শহরের ঘুমন্ত দৈত্যকে মৃত বিবেকের পাশে কবর দিয়ে রাখি। এই দেশের শহরে-শহরে, মানুষে-মানুষে নিজস্বতার বিশেষ স্পার্ক নেই। ষাঁড়ের দিকে তর্জনী তুলে বলতে না পেরে অবক্ষয়িত আত্মসমর্পণ মেনে ইত্যাদি প্রভৃতির সাথে সহবাস করে পরম লীলায়। এদিকে সমস্ত সিস্টেম থেকে তিল তিল করে মুছে যাচ্ছে ক্রমাগত ভালোবাসার অতীত। প্রতিদিনের বাঁচা টুকরো টুকরো হতে হতে স্বর্গের লোভ তবু ছাড়ে না। এখন যা ভাবি আর যা বলতে চাই সেই সব বলি কাকে? একটা টবের মাটিতে কিছু বীজ পুঁতেছি। সময়ের সাথে খোলা শরীরে তারা বড়ো হলে আমার আসন্ন না বলা কথা, মানুষ না পেলে তাদেরকেই বলে যাব।