প্রতিদিন সন্ধ্যায় দেখি, দমদম জংশন দিয়ে পাশ হয়ে যায় একটি ছিমছাম ট্রেন, কলকাতা-রাধিকাপুর মেইল। আমি জানি না, রাধিকাপুর কোথায়, তবে নিশ্চিত জানি, রাধিকাপুর স্টেশনে একখানা শিমুলগাছ আছে, যার নিচে কোনো চায়ের দোকান নেই। শিমুলগাছের তলায় ঘাসের বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে দেখবে, টকটকে লাল শিমুলফুলের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে নীল বসনা আকাশ। দু’টো বউকথাকও পাখি গাছের ডালে বসে খুব ব্যস্তভাবে ডাকতে থাকে একটানা। ওদের কীসের এত তাড়া, কে জানে! সব চেয়ে বড় কথা, রাধিকাপুর স্টেশনে শিমুল গাছতলায় দু’দণ্ড জিরিয়ে নেওয়া যায়। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমি কোনো এক জংশন স্টেশনে, একটি ছিমছাম মেইল ট্রেনের আশায় চুপচাপ বসে থাকি।