ব্যক্তিগত গদ্য থেকে যে মেয়েলি ট্যাটু উঠে এল, সে প্লট-ফিফটিন ক্যাফেতে উষ্ণতা নয় শীতলতার সন্ধানে বিভাজিকার রহস্যগল্পে সুপার্ব সুগন্ধ মেখে মৌতাতে রাত আরও অস্থির করে তোলে; বাক্য- বিনিময়হীন তাচ্ছিল্যে ভরা উদাসীন অবসাদ অথচ ঘাপটিমারা আবহে অহেতুক অবহেলা নিপাট সম্পর্ক খোঁজে অপরিশীলিত গাঢ়তার চলমান যাত্রায়। বাহ্যিক কৌণিক বিন্দু থেকে ক্রমহ্রাসমান উন্নয়নের বিপরীতে হাঁটা সেই আমাদের বোধ অখণ্ড ভারত তাকে যেন বিদ্রুপ করে। শরণাগত আবহমান ক্রাচ হাতে নিবিষ্ট নিবিড়তায় দিকে আসন্ন পদযাত্রা আর সমূহ মোমবাতি মিছিল স্থিরচিত্র এঁকে দিলে হাতের সেলফোন ফোরজি নেটওয়ার্কে তখন ব্যস্ত থাকে নীল তিমি আর ব্লু-ভিডিও, রাজনৈতিক তর্কাতর্কি ভ্রষ্টাচার সমন্বিত সান্ধ্যবাসর আলোকিত হয় পুনর্বার বুদ্ধিজীবী বিলাসিতার অন্তঃসারশূন্য অসফল সমাবেশে… সেই আত্ম-উন্মোচনহীন কবন্ধ ছায়াশরীর থেকে বিচ্ছুরিত যে মাংসল দুর্গন্ধ অভিমুখ বরাবর হেঁটে গেল, ত্রিভঙ্গ মুরারি সংকটের অনিকেত ঝুলে থাকা আমাদের সভ্যতার দিগবিদিক ছুটে চলা। মোহময় আবর্ত সৃষ্টির অভিমুখ বরাবর যে চতুরতা, প্রাসঙ্গিক কোনও সত্যভাষণের তোয়াক্কা না করে আশি ডিগ্রি ঘুরে যাওয়া আপাত প্ররোচনার এক বর্ণিল সমারোহে বহমান মিছিল বিপ্লব-পরবর্তী যে ম্যানুফেস্টো, তাকে শুধু উড্ডীন রাখার যাবতীয় কলাকৌশল, রংদার কর্মসূচি- শোভিত নিত্যদিন জাবরকাটা অভ্যাস সমন্বিত আত্মগত নিঃস্ব ফেনিল যে উচ্ছ্বাস তাকে নিয়ে সঙ্গমবাহিত অলৌকিক আঁধারে নিমগ্ন স্মৃতি, পটচিত্রের আদল দিলে কথন ভঙ্গিমার এক অপরূপ বিচিত্র পরিবেশন সজ্জিত মঞ্চায়ন হবে। ততক্ষণ আমরা শরণাগত আবহমান!