সাধনা

গড়িয়া, কলকাতা ৮৪


ভয় ছেড়ে দু'পা এগিয়ে এলেই শরীর পলিমাটি। মখমলের মতো মোলায়েম। সুরের ওপর স্পর্শ সুরে লেগে থাকা শাদা পালকের গতিবিধি। মিড় থেকে গমকে পৌঁছে যায় অপরূপ বিস্তার। সুজলা-সুফলা ঋতু যৌতুক হয়ে আসে। নদী নির্বাক হয়...যেন প্রিয় নারীর হৃদয়! পোড়ো ভিটের মতো বে-আব্রু চর। তার সমতলে গানের নোঙর বেঁধেছি আগেও। ইতস্তত দূর্বার মতো সবুজ ইশারা। বুকের গভীরে এইসব অনাবিল পাতাঝরা আচ্ছন্ন করে। হাঁটু গেড়ে বসি প্রার্থনার ভঙ্গিমায়। কান্নার গন্ডি দিয়ে বলি, “ভালোবাসি!” অতল পাথরের মতো তোমার ধারালো চিবুক। চাপা হাসির বিদ্যুৎ ঝলসে ওঠে । ওদিকে তাকালে অন্ধ হয়ে যাই। সতর্ক চাঁদ আড়ি পাতে অভ্যেসে। বুকের বেড়ে চলা ঢিপঢিপে মুগ্ধ নিঃশ্বাসের ভাপ। আঠালো নেশা ধরে যায় তোমার জমানো অন্ধকারে। হাড়জিরজিরে পাঁজরে অসময়ের ভৈরবীসাধনা। টিমটিমে লণ্ঠনের কালিতে মোক্ষম চুম্বক। সেই অত্যাশ্চর্য রহস্যে তুমি বদলে যেতে থাক... বারবার। সংযমের মোহনায় ভরাডুবি। দ্রুত নেমে যাই অমোঘ টানে। খসে যাওয়া পরাগের গায়ে সঙ্গম-বন্দিশ লিখে রাখি। বিকীর্ণ আলো গুঁড়ো-গুঁড়ো দুঃখে ভাস্বর। প্রাণপণে আগলাই দুই করতলে। কন্ঠে বসত সহজ স্বচ্ছতোয়া। জলতরঙ্গে মায়াপ্রপাত। এ বেলাগাম বর্ষায়, তোমাকেই মল্লারে চিনি...
ছুঁয়ে বলো নির্ঝর, সব ঠোঁট কি আদর হয়ে ওঠার স্বরলিপি জানে?

বৈশাখী ২০২৪