“হা- রে -রে -রে -রে -রে”

তমলুক, মেদিনীপুর


আচকানের ভিতর ঢুকে, তিনি কথা বলছিলেন হাওয়ার ইরেগুলারিটি নিয়ে। হাওয়া খেয়ে, হাওয়া মেখে বেড়ে ওঠা ইলিউশনটি বায়ুথলি থেকে বেরিয়েই একাকার! কৌতুকে ছুটন্ত সব দাবিগুলি, একটি হাইতোলা জাহাজে চাপিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর হাওয়াটিক ভয়েজ। কম্পাস ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তিনি পেরিয়ে যাচ্ছিলেন আশ্চর্য সব দিকভ্রান্তি! আর এইভাবে... জল থেকে বহুদূরে বসে, বিভিন্ন হাওয়াহীনে ফুঁ দিচ্ছিলেন অবিরাম। চারপাশ বয়ে যাচ্ছিল বেমালুম!

দাঁতের ফাঁক থেকে নাসাপথ বরাবর হাওয়ার গতিপথের অ্যানাটমিটি ছিলো পলিথিনে মোড়া। নানারূপ আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় জানলায় আলোকপাত করার পর, তিনি ডাক দিলেন হাওয়া বয়কটের। অতঃপর হাওয়া ঢুকে পড়ল তেওড়ায়। ডাঙশ হাতে সে ছুটিয়ে বেড়াল অন্তরীক্ষ। প্রবলের অভিমুখে হা -রে -রে- রে -রে -রে। 
দুরন্ত প্রগতির, উড়ন্ত মাটিটুকুই শুধু লেগেছিল তাঁর হাতে।
যদিও, উড়ে যাওয়া ঝুঁটিখানি ছাড়া, মোরগ সংশোধনে বায়ুথলীটির মৃত্যু এখনো লেখা নেই। নির্নিমেষ বিস্ময়ে, দেখছি... ডানাহীন, পেরিয়ে যাচ্ছেন পাখিদের...

বৈশাখী ২০২৪