যুগলকিশোর ১

  
​যুগলকিশোর ১

অমিত পাটোয়ারী 
আটঘরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা 

বলো যুগলকিশোর,
তোমাদের স্মিতা পাটিল এখনও ময়দানে কেন
নাম লেখাচ্ছেনা ? মৃদঙ্গময় কোলের জন্য
গোয়েন্দা হয়েছি। আর সাইকেল শপশপ ক’রে
হাওয়া কেটে বেরিয়ে যাচ্ছে...

ছেলেদের সতরঞ্চিতে শিবের ওই পোঁটলা থাকতে পারে
এখন, এইদেশে
ভেবেছিলে?
ও কে, যার জন্য তুমি বাৎস্যায়ন হাতড়াতে হাতড়াতে
ছাইভস্ম জড়ো ক’রে রেখেছো পিতাঘটিত গুহায়?

তোমার ক্রীড়াশব্দ ঘোর এখনও কাটেনি। তুমি
একবার
দুইবার
তৃতীয়বারেও তাকে অধিনায়িকা করতে চেয়েছিলে ,
চাইছ।
চাইছ শিশুবয়ক্রম কিংবা
ধনেখালি অতিক্রান্ত হওয়া সেইসব
ছাদ-বারান্দা ছুটোছুটি ক’রে রহস্যময় দেখা।

তাদের কি আর দেখা যায়,
যারা পদার্থ আর অপদার্থ বিদ্যার এক একটা বিভাগ
এক একটা বুকে রেখে দিত?

তালপত্র জাপটে যারা
মা-পূর্ব মানুষের গন্ধ ঢুকিয়ে দিত ব্যাগে ,
ফুল্লরার সাজগোজ ক’রে বলত,
                 লেখা হোক
                 লেখা হোক
                 লেখা হোক

বলো যুগলকিশোর তুমি স্মৃতি-তর্পিত হওয়ার দিন
কেন স্নেহ-ভোজন সমাপ্ত ক’রে আসোনি?

স্নেহ, অংশু হয়ে এল‌ আজ গঞ্জ দেশে বৃষ্টিকল্পিত দিনে
স্নেহ, নগ্ন হয়ে এল‌ আজ গঞ্জ দেশে পত্রকল্পিত দিনে 
হস্ত-পদ ঘুমিয়ে পড়ল,
এসো কুর্তা 
তোমরা চিৎকার ক’রে একসঙ্গে হাল্লা মাচাও
নারী
গাছ
জল কিছু নয়, শুধু প্রিয়, শুধু প্রিয় সব ঘুম

যেরকম ঘুম এলে
মানুষের মতো ট্রেন আরও আরও পিছনের দিকে
চলে যায়... 

ভুল পথ
ঠিক হ’তে প্রয়োজন হাত। তুমি সেই
হাত
তুমি সেই ট্রেন খুঁজে পেয়েছিলে?

উঠোনা। ভুল ক’রে ভয়জন্ম পেয়ে গিয়েছিলে ,
ভুল ক’রে ঘুম জন্ম দিয়ে যাব
                                               তাই হয় !

বৈশাখী ২০২৪