বসন্ত নয়, এক চরম দুর্যোগের দিন বেছে দেখা করার কথা ছিল আবহাওয়া জুড়ে চার দিন প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস হতেই বেছে নিলাম বোলপুর স্টেশন কারণ এখানে রবি ঠাকুর থাকতেন তিনিই বুঝিয়েছিলেন শেষের কবিতা মানেই কবিতার শেষ নয়। কিন্তু আমরা কেউই বোলপুরের একশো মাইলের মধ্যে থাকতাম না শর্ত ছিলো এই একশো মাইল পেরোতে কেউ ট্রেনে উঠতে পারবে না গন্তব্যের পথে রাখা যাবে না কোনো মোবাইল ফোন, ঘড়ি কিংবা ছাতা মুষল পর্বের বৃষ্টি শুরু হলে তবেই যাত্রা শুরু করা যাবে। যথা সময় নিম্নচাপের নিয়ম মেনে বৃষ্টি নামালো খরস্রোতা শ্রাবণ আকাশ ছেয়ে গেলো মুষলধারা মেঘে, চেরাপুঞ্জি এসেছে বাংলায় পরপর অশনিসম্পাত দেখে আমাকে যাত্রা শুরু করতে হবে পবিত্র চোখ দেখার জন্য এর থেকে ভালো দিন আর হয় না। কালো মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখলাম অজস্র নীল গাইয়ের ঢল কেউ উত্তর কেউ দক্ষিণ কেউ বা পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া অস্তিত্ব দেশজুড়ে এত গোষ্পদ ভরে যাচ্ছে নিষ্পাপ জলস্রোতে অথচ এদের কেউই কিন্তু কোনো শর্ত বাজি রেখে বেরোয়নি আজ। আমাকেও একশো মাইল যেতে হবে কাব্যময় বর্ষণ ডিঙিয়ে আমাদের মাঝের দুশো মাইল দূরত্ব কমাতে আমরা জানি চুল থেকে জল গড়ালেই তুমি কবিতা জুড়ে নিখুঁত লাবণ্য আমিও অমিত বিক্রমে কাব্য-সৌন্দর্য ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষায়। রবিবাবু ডাকছেন। তুমি বোলপুর স্টেশনে দাঁড়াও আমি আসছি নয়তো আমি বোলপুর স্টেশনে দাঁড়াচ্ছি তুমি চলে এসো এক্ষুণি।
1 Response
অসাধারণ লেখনী