বড় গাছটার আড়াল থেকে চুপটি করে ওকে দেখছিল মিঠি। টুকটুকে ফর্সা রঙ, একমাথা কোঁকড়া কোঁকড়া চুল। নরম, শান্ত মুখ….! ক্যারাম খেলতে আসে এই পাড়ার ক্লাবে। এই পাড়ার বাকি সব ছেলেই মিঠির মুখ চেনা। কত বছর ধরে দেখছে! ওর চোখের সামনে দিয়েই তো বড় হলো সব। মিঠির তো অনন্ত কৈশোর। পুঁচকে পুঁচকে দেখেছে ওদের, কাউকেই তাই মিঠির মনে ধরেনি। তবে এই ছেলেটির কথা আলাদা। সামনে এলোই তো এই সবে। ব্যায়াম করা টানটান শরীরে জিন্স, টিশার্ট। লম্বা চওড়া চেহারা, অথচ কী মায়াময় মুখ। কেমন নরম নরম তাকানো! মিঠি মুগ্ধ হয়ে দেখে। ক্লাবে ক্যারাম খেলতে খেলতে আনমনে চোখ তুলে তাকায় যখন, মিঠি ভয় পেয়ে যায়, বুক ঢিপঢিপ করে….এই রে! দেখতে পেয়ে গেল না তো! যদিও তখনও সন্ধ্যে নামেনি, দিনের ফ্যাটফ্যাটে আলো চারিদিকে, দেখতে পাওয়ার সুযোগই নেই কোনো, তবুও মিঠির ভয় করে! বাপ রে! দেখতে পেলে কী যে হবে! আর এমুখো হবে নাকি এই ছেলে! মিঠির উলুক সুলুক ভাব মায়ের চোখ এড়ায়নি। কিন্তু মা এখনও আসল ব্যাপারটা টের পায়নি। ভেবেছে এখানেই কাউকে পছন্দ হয়েছে বোধহয় মিঠির। যেমনটা হয় আর কি! কিন্তু মিঠির যে এখানে কাউকেই পছন্দ নয়। আর যাকে পছন্দ তার সঙ্গে বিয়ে কেবল নিষিদ্ধই নয়,অসম্ভব ও বটে। যাক গে, নাই বা হল বিয়ে! বিয়ে যে করতেই হবে তা তো নয়। ও বরং লাল টুকটুকে বউ আনুক ঘরে। ওর মতনই সুন্দর বউ। মিঠির মত পেত্নীকে বিয়ে করতে ভারী বয়েই গেছে অমন সুন্দর ছেলের। মিঠি না হয় দুর থেকেই ভালোবাসবে ওকে। ভালো মন্দের খেয়াল রাখবে। তা রাখে বটে মিঠি। ওদের ক্লাবঘরের দরজার পাল্লার একদিকের উপরের কব্জাটা খোলা আজ কতদিন। পাল্লার ওপর দিকটা তাই এগিয়ে থাকে একটু। অনেকেই গুঁতো খায় ঢুকতে বের হতে গিয়ে। কেবল ও যখন বের হয়, হাত দিয়ে পাল্লাটা একটু সরিয়ে ধরে মিঠি। কেউ কিচ্ছুটি টেরও পায়না। শুধু মিঠি জানে। আবার ধরো, রাত করে সুন্দর ছেলে বাড়ি ফেরে যখন, পিছন পিছন যায় তো মিঠি। ভালো মন্দ বিপদ আপদের খেয়াল রাখে। হয়ত সাইকেল চালাতে চালাতে অন্ধকারে ছেলে খেয়ালই করল না সামনে গর্ত আছে, মিঠি একটু বাঁ দিকে ঘুরিয়ে দিল সাইকেলের হ্যান্ডেল। ব্যস আস্তে করে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেল সাইকেল, ছেলেটা বুঝতেও পারল না। তবে মিঠি কিন্তু পাড়া ছেড়ে বেশি দুরে যায় না। মার কাছে খবর চলে গেলে মা রাগ করবে। তাদেরও সবার জায়গা ভাগ করা আছে কিনা! নিয়ম না ভেঙে যতটা সম্ভব খেয়াল রাখার চেষ্টা করে মিঠি। আর ক্রমশ আরও আরও বেশি করে ভালোবেসে ফেলে যেন। সারাক্ষণ ওর কথাই ভাবে, ওর সঙ্গে সঙ্গেই থাকতে চায় সবসময়। ভোরের আলো ফুটে চকচকে দিন চলে এলেও ঘুমোতে পারে না মিঠি। উজ্জ্বল আলোয় হাল্কা তন্দ্রা আসে শুধু। আর সেই তন্দ্রার ঘোরে ছেলেটার নরম নরম চোখ, ফর্সা গালে তিন দিনের না কামানো সবুজ সবুজ হালকা দাড়ি, সুন্দর চেহারা, তাকানো, হাসি, সব মনে পড়তে থাকে। ছেলেটার পাতলা লাল ঠোঁট অস্থির করে মিঠিকে, টানতে থাকে চুম্বকের মত। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করতে থাকে মিঠি। ঘুম আসে না তার। ইস্! ওর জেগে থাকার সময় মিঠিকে ঘুমোতে হয় কেন! উল্টোটা হলেই তো বেশ হত! সারাক্ষণ ওকে চোখে চোখে রাখতে পারত মিঠি। ওর খেয়াল রাখত। মিঠির মন খারাপ হয়। এ ভাবেই দিব্যি চলছিল। কিন্তু প্রেম কি আর বেশিদিন লুকিয়ে থাকতে চায়! আত্মপ্রকাশেই তো তার সার্থকতা। আপনাকে মেলে ধরতে সে যে স্বতত উদগ্রীব। মিঠির কেবলি মনে হয় ও কি জানে মিঠির কথা? টের পায় মিঠি বলে কেউ আছে একজন, যে তার ধোঁয়া ধোঁয়া কিশোরী শরীরের আড়ালে থাকা ছোট্ট মনটা পুরোটাই ওকে দিয়ে বসে আছে! এক জীবনের অতৃপ্তি বুকে করে ওকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে? মিঠির জানান দিতে ইচ্ছে করে। সামনে আসতে ইচ্ছে করে। যদিও সে ইচ্ছার মাসুল বড় ভয়ানক, হয়ত বা অনন্ত বিচ্ছেদ..। তবুও মিঠির ইচ্ছে হয়। ও জানুক মিঠি বলে কেউ একজন আছে, আছে, আছে। কেউ মিঠিদের চায় না তবুও মিঠিরা থাকে। দরজার আড়ালের অন্ধকারে সেদিনও লুকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল মিঠি। চেয়ে চেয়ে দেখছিল ওকেই। ছেলেটা উশখুশ করছিল আজ। আসলে মিঠির জানান দেওয়ার ইচ্ছে ওর মনেও সন্দেহ ঢুকিয়েছিল যেন। দরজার পাল্লাটা নড়ে উঠতেই ছেলেটা ছুটে এল দ্রুত। চিৎকার করে উঠল, "কে? কে ওখানে?" বাপ্ রে। কী রাগী রাগী গলা! চট্ করে হাওয়ায় মিশে যেতে গিয়ে হাত ফসকে ছবিটা পড়ে গেল নীচে। মিঠিরই ওই জীবনের ছবি। শাড়ি পরা, দুই বিনুনি বাঁধা, সাদা কালো ফটোগ্রাফ। বিয়ে দেওয়ার জন্য বাড়িতে লোক ডেকে তুলিয়ে ছিল বাবা। ছবিটা খুব প্রিয় মিঠির। সব সময় সঙ্গে সঙ্গে থাকে। ইস্! অসাবধানে পড়ে গেছে হাত থেকে। ছেলেটা ছবিটা তুলে নিয়েছে দুই হাতে! পাড়ার হাবুলকে ডেকে দেখাচ্ছে ছবিটা। ইস্ কী লজ্জা! হাবুল বলছে, "এটা তো মিঠি পিসির ছবি! আমার পিসির ছোটবেলার সই ছিল। তুই ওর ছবি কোথায় পেলি?" ছেলেটা অবাক হয়ে বললো, "এই তো, এইখানেই পড়ে ছিল।" হাবুল বললো, "কে জানে এখানে কী করে এলো! মিঠিপিসি তো শুনি সেই কবেই মারা গেছে। ওর ছবি এখানে এলো কী করে!" ওমা! কী ডাকাবুকো ছেলে দেখো, এসব শুনেও একটুও ভয় পেলো না! বরং মুচকি হেসে মিঠির ছবিটা যেখানে ছিল রেখে দিল সেখানেই। বললো, "থাক এখানে। যার ছবি সে এসে নিয়ে যাবেখন। " কেমন বুদ্ধি দেখো, ঠিক বুঝেছে ছবিটা মিঠির বড্ড প্রিয়। ওরা চোখের আড়াল হতেই টুক করে ছবিটা তুলে নিয়ে পালিয়ে এল মিঠি। এখন আর মিঠির অত ভয় নেই। ও যখন জেনেই গেছে সব...। এখন যখন ক্যারাম খেলে ক্লাবঘর থেকে বের হয় সুন্দর ছেলে, মিঠি ইচ্ছে করেই দরজাটা ঠেলে দেয় জোরে। ক্যাঁচ করে শব্দ হয়। ছেলেটা অবাক হয় না আর। শুধু মুচকি একটা হাসি খেলে যায় ওর ঠোঁটে, সব কিছু বুঝতে পেরে যাওয়া হাসি। মুখে বলে না কিছুই। কী করে যেন জেনে গেছে ও মিঠি আছে। কাউকে কিচ্ছু বলে নি ও ও। কিন্তু নির্ভর করতে শুরু করেছে মিঠির ওপর। সাইকেল চালায় অন্যমনস্ক হয়ে, খানাখন্দ সব মিঠি পার করে দেয়, ক্যারাম খেলার সময় স্ট্রাইকারে আঙ্গুল ঠেকিয়ে রাখে শুধু, লাল গুটি এমনিই পকেটে ঢুকে যায়, ফাঁকা ক্লাবঘরে একলা ঢোকে যখন, মাথার ওপর এমনিই ঘুরতে শুরু করে ফ্যান, জ্বলে ওঠে লাইট….। এমনি আরও কত কী! ছেলের মুখে শুধুই সবজান্তা এক হাসি লেগে থাকে আলগা হয়ে। আর ঠোঁট টেপা সেই লাজুক হাসির কথা মনে করে কী যে লজ্জা পায় মিঠি! দুই হাতে মুখ ঢেকে সারাদিন বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করে, ঘুম আসতে চায় না। সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল, হঠাৎই কেমন করে যেন দত্তদের বড়ো মেয়েটার সঙ্গে আলাপ হলো ছেলেটার। মেয়েটা সুন্দর। মিঠির মত খুব সুন্দর না হলেও ভালোই দেখতে। তাছাড়া পড়াশোনাতেও ভালো খুব। পড়তে যায়, আসে, ছেলেটার সঙ্গে দেখা হয়। মিঠির কষ্ট হয় খুব। বুকের মধ্যে চাপ চাপ কষ্ট। মিঠি তো জানতই একদিন না একদিন এমন কিছুই হবে। তবু মেনে নিতে এত কষ্ট হয় কেন! মিঠি এখন আর ক্লাবঘরের সামনে যায় না। দত্তদের মেয়ে পড়ার ব্যাচে যাওয়া আসার ফাঁকে ক্লাবঘরের সামনে এসে দাঁড়ায়, ছেলেটা বেরিয়ে আসে। কত কথা হয়, গল্প, হাসাহাসি..। একদিন ক্লাবের পাশে মাঠের অন্ধকারে ওদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলল মিঠি। তার প্রিয়জন, সবচেয়ে প্রিয়জন অন্য কারও হয়ে গেল। লাল ঠোঁট, সবজেটে চাপ চাপ দাড়ি, হাসিমাখা চোখ, সব কিছু, সমস্ত কিছু ছুঁয়ে দিল অন্য কেউ! উফ্ সে কী দুঃসহ কষ্ট! সারাদিন সেদিন বালিশে মুখ গুঁজে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলো মিঠি। ছেলেটা একবারও ভাবলো না ওর কথা, ভাবলো না কী কষ্টটাই না পাবে মিঠি! ও তো জানে, মিঠি লুকিয়ে দেখে ওকে। ওকে ভালোবাসে! পাশে পাশে থাকে! সেইদিনের পর থেকে ক্লাবঘরের সামনে আর যায়না মিঠি। সাধ করে কষ্ট পেতে কেই বা আর চায়! তা সে মানুষ হোক কিংবা ভূত। কিন্তু সেদিন একটা সমস্যা হলো। অমাবস্যার রাত, চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, সবদিকে একটা খুশি খুশি ভাগ! মিঠিকে এসব স্পর্শ করছিল না যদিও। বাঁশঝাড়ের মাথায় বসে দোল খেতে খেতে ডাঁসা পেয়ারায় কামড় বসাচ্ছিল মিঠি। হঠাৎ দেখে দুরের রাস্তা দিয়ে দত্তদের মেয়েটার পাশে পাশে হেঁটে যাচ্ছে সুন্দর ছেলেটা। টিউশন শেষে বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছে বোধহয়। ডানহাতে ধরা সাইকেলের হ্যান্ডেল। বাঁ হাতে মেয়েটার হাত। সাইকেল হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছে দুজনে। অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকারে বহু দুর পর্যন্ত দেখা যায় স্পষ্ট। দেখেই কেমন রাগ হয়ে গেল মিঠির। হুঃ! ন্যাকামো দেখে গা জ্বলে যায়! মুখ ঘুরিয়ে নিল মিঠি। আর মুখটা ঘোরাতেই চোখে পড়ল দৃশ্যটা। বিশে,পিন্টু, পকাই, সত্য সবাই দাঁড়িয়ে রয়েছে কেন রাস্তার ধারে? এই ছেলেগুলো তো ভালো নয় একটাও। বিশ্বপাকা বখাটে ছেলে সব। ওদের বাবারাও ছিল ওইরকমই। পাজির পাঝাড়া। সবক'টাকে হাড়ে হাড়ে চিনত মিঠি। দত্তদের এই মেয়েটাকেই পছন্দ করত না পিন্টু? রাস্তাঘাটে বিরক্তও তো করত খুব! তাহলে? হচ্ছেটা কী ব্যাপারটা? মেয়েলি কৌতূহলে তাকিয়ে থাকে মিঠি। ওই তো দত্তদের বাড়ির সামনে থেকে সাইকেল ঘোরাচ্ছে ছেলেটা। আরে, মাঠের পাশে আসতেই সবাই মিলে ছেঁকে ধরেছে কেন? দেখতে হয় তো তবে একবার! সাঁ করে উড়ে গিয়ে মাঠের পাশের কদম গাছে গিয়ে পা ঝুলিয়ে বসলো মিঠি। পিন্টু এবার ছেলেটার কলার চেপে ধরেছে, "শালা, বেপাড়ার ছেলে আমাদের পাড়ার মেয়ের সঙ্গে লাইন মারা হচ্ছে! আজ পুঁতেই ফেলব শালাকে।" সুন্দর ছেলেটা কী যেন একটা বললো আস্তে আস্তে। স্পষ্ট ভয় পাওয়া গলা। বেশ হয়েছে! বুঝুক এবার! এই মাঠেই চুমু খেয়েছিল না মেয়েটাকে! এবার বাঁচাক এসে ওর প্রেমিকা! মিঠির ভাবতে ভারী বয়েই গেছে! কিন্তু না ভেবেও তো পারা গেল না বেশীক্ষণ। অশ্রাব্য একটা গালি দিয়ে ছেলেটাকে টেনে একটা ঘুঁষি মেরেছে পকাই। ছেলেটা পড়ে গেছে মাটিতে। পাতলা লাল ঠোঁট কেটে রক্ত বেরিয়ে আসছে। অসহায় চোখ মেলে চারপাশে খুঁজছে যেন কাকে। মিঠিকেই নিশ্চয়ই! আর পারল না মিঠি। পেয়ারা ফেলে, কদম গাছের একটা ডাল ভেঙে নিয়ে পেটাতে শুরু করলো সবক'টাকে। ছেলেটা তখনও মাটিতে পড়া। অন্ধকারে পিন্টু পকাইরা দেখতে পাচ্ছে না কিছুই, ভাবছে ছেলেটাই বোধহয় গাছের ডাল ভেঙে এলোপাথাড়ি পেটাচ্ছে ওদের। নিমেষে ছত্রখান হয়ে গেল দলটা। দৌড়ে পালালো দুদ্দাড়। ওদের তাড়িয়ে আবার কদম গাছের ডালে ফিরে এসে বসলো মিঠি। হাঁফাতে হাঁফাতে দেখলো, ছেলেটা উঠছে ধীরে ধীরে। প্যান্টের ধুলো ঝেড়ে নিল দুই হাতে। মুছে নিল ঠোঁটের ওপর লেগে থাকা রক্ত। তারপর সাইকেলটা তুলতে গিয়ে নীচু হতেই যেন থমকে গেল কী একটা দেখে। এই রে! ওটা তো মিঠির সেই ফটোটা। মারামারি করতে গিয়ে পড়ে গেছে কখন! ছেলেটা কিন্তু আজ আর নামিয়ে রাখল না ছবিটা। চোখ সওয়া অন্ধকারে কৃতজ্ঞ হাত বোলালো ছবিটার গায়ে, অনেকক্ষণ। আর তারপর যত্ন করে রেখে দিল বুকপকেটে। আজ রাতে অনেক দিন বাদে আবার ক্লাবের দরজার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মিঠি! ক্লাবে আজ হইহই রইরই কান্ড! যে আসছে সেই আজ পিঠ চাপড়ে দিচ্ছে ছেলেটার। হাবুল কোথা থেকে শুনে এসেছে ছেলেটা খুব জব্দ করেছে পিন্টু পকাইদের। ছেলেটা হাসছে মিটিমিটি। সব জেনে আর বুঝে যাওয়া সেই চেনা লাজুক হাসিটা। কেটে যাওয়া একটু ফোলা ঠোঁটে ভারী সুন্দর লাগছে। আর মাঝে মাঝেই হাত রাখছে বুক পকেটের ওপরে। ওইখানেই আছে যে মিঠির ছবিটা। ছেলেটা বুক পকেটে করে নিয়েই ঘুরছে সেটা সেই থেকে। ইস্! ভারী লজ্জা করছে মিঠির। দুহাতে মুখ ঢাকতে গিয়ে ভাঙা পাল্লায় আওয়াজ উঠেছে,ক্যাঁঅ্যাচ। ছেলেটা তাকিয়ে আছে মিঠির দিকে। ডান হাতটা উঠে এসেছে বুক পকেটের ওপর। মুখে সেই মিষ্টি হাসিটা; যেন বলতে চাইছে, এই তো দেখো, তোমাকে রেখেছি একদম আমার মনের কাছাকাছি।
7 Responses
সত্যিই খুব মিষ্টি হয়েছে
ভালোবাসা নিও।
খুব ভালো লাগলো। মিঠির চরিত্রটা জীবন্ত আর মায়াময়।
Thank you so much. ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। 💐
বড় চমৎকার লেখা। প্রেমের গল্প কমই ভাল লাগে।
এটি লাগল।
অসীম কৃতজ্ঞতা। 🙏🙏🙏🙏 খুব খুশি হলাম। 💐💐💐💐💐
মিষ্টি গল্প। অন্যরকম।ভালো লাগল।