মাটি জলের গন্ধে

কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর

টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছিল সমস্ত চেনা অবয়ব 
ভেঙে পড়ছিল ইন্দ্রিয় সুখ কেঁপেছিল পঞ্চপ্রদীপ আলো 
চেনা সৈকতে মোহনা মুছেছে উৎস পায়ের ছাপ 
জোয়ার ভাঁটা ঘূর্ণি হাওয়া টেনে নিচ্ছিল আক্রান্ত ফুসফুস 
সকল অন্তর কোষে নিবিষ্ট আত্মার আকুতি। 

সকাল সূর্যের গায়ে আশ্চর্য লালের বৈরাগ্য 
অগুনতি মানুষ বাবা বেটা বউ অন্য সব সম্পর্ক সুখ 
চেনা সম্পর্কের ঘরদোর বেঁধে রাখে জন্ম গ্রন্থি আঁচল 
আলোয় ভাসছিল বাবার মুখ আলো হয়ে এসেছিল মা 
আলোর ভেতরে বিন্দু বিন্দু রক্ত রেণু জলছবি বোনে। 

আলোর বাসরে বৈভব গড়াচ্ছে প্রাচীরে প্রাকারে শরীরে 
মায়ের ঝুলে পড়া চামড়া হাতের শিরায় বাঁচে বিশল্যকরণী 
টুকরো টুকরো জীবন রেখা আগলে বাঁচে পাঁজর 
নিঃশব্দে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন খোঁজে সন্তানের পায়ের শব্দ
মাটি জলের গন্ধে গড়াচ্ছে শরীর আলোয় প্রতিবিম্ব 
কাঁপা কাঁপা হাতের ভেতরে চেনা মানুষের মুখ। 

বৈশাখী ২০২৪