শ্রাবণের গর্ভবতী আকাশ কালো হয়ে এসেছে…প্রসবের আর দেরি নেই। স্লেট রং মুছে দেওয়ার খেলা শুরু হবে, পৃথিবী ভাসিয়ে নেওয়ার ধারাপাতে পাঠক্রম মুছে যাবে সেই বালিকার, যার আনত আঁখিপল্লব ভিজে উঠেছে নিরবিচ্ছিন্ন অশ্রুর রঙে… ধূ ধূ প্রান্তরের মত পিছুটান বয়ে যায় খেয়ালি সারেঙ্গির কান্নাগন্ধী আলাপে, ঘোর ঘনিয়ে ওঠে ধুন, ধুনের ভেতরে বিছিয়ে থাকা নিটোল অভিমানে ধুয়ে যায় সম্পর্কের অন্তঃস্থ ধোঁয়াশা-গোলক। এসময় চুপ করে থাকাটিকে নিঃশর্তে দিয়ে দেওয়া যায় একাকার বৃষ্টিতে কাজল-লেপ্টে-যাওয়া দুচোখের সজল-করুণ দৃকপাতকে… এভাবে পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে পার হয়ে যেতে থাকে দোদুল অনীহা ওকে চেনা মনে হলেও অব্যক্ত থেকে যায় যা বলার কথা ছিল ঋতুকালীন শুকনো পাতার মত খসে গিয়ে আবর্তের ফাঁকায় বেজে ওঠে দাউদাউ অনস্তিত্ব…বায়বীয় উন্নাসিকতার কিনারে যে দাঁড়িয়ে রয়েছে একা কে জানে শূন্য তাকে কতটা আপন করে ডেকেছে গহন অভিমুখে ঘটনার অভিকর্ষে হু হু করে অবধারিতের দিকে ধেয়ে যায় নিক্ষেপের কৌশল অপরূপ ভাস্কর্যে জেগে উঠি অবচেতনের নিঁখুত অন্ত্যমিলে…