এখন বিকেল চারটে

চুঁচুড়া, হুগলি

এক


একসময় আমাদের গল্প রাখার জায়গা পাওয়া যেত না। হাতের নাগালে যা পেতাম তাতেই গল্প রেখে দিতাম। এমন কতদিন হয়েছে বাড়িতে আর কোনো জায়গা নেই তবুও মুখ দিয়ে গল্প গড়িয়ে পড়ছে। তখন আমাদের আগে আগে গল্প যেত। এমন কত মানুষ ছিল যারা আমাদের চিনত না কিন্তু আমাদের গল্পের নাড়িনক্ষত্র সব বলে দিতে পারত।

পায়ে পায়ে একদিন আমাদের ঘরটা যখন বাইরে বেরিয়ে এল, বেলাশেষের আলোয় শরীররেখা অস্পষ্ট হতে শুরু করল তখন গল্প হয়ে গেল একমুখি। কিছুদিন আগেও সকাল শুরু করে দু এক জায়গায় দাঁড়াতাম। এখন আর মাঝে কোনও  স্টপেজ নেই। সোজা গন্তব্য।

দুই 


সন্ধের জামাটা তখনও একটু ভিজে ভিজে ভাব। এখানে ওখানে একটু আধটু আলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ঠিকঠাক মেলে দিলে বাকি জলটুকু শুষে নিতে পারবে। হঠাৎ কোথা থেকে উড়ে এলো এক ঝাঁক শব্দ  ------ যা নয় তাই বলে গেল। পাশ দিয়ে যেতে যেতে অথবা কেউ দাঁড়িয়ে পড়লে মনে করবে কী জিনিস রে বাবা! ইচ্ছে মত যেকোন রঙও তারা আমার গায়ে লাগিয়ে দিতে পারে। কিন্তু আসল সত্যিটা হল শব্দগুলো কারও সামনে দাঁড়াতে চেয়েছে। হয়ত কোনোদিন চোখে চোখ ফেলেছিলাম তাই আমার সামনে। যদিও ঘন্টা বাজার সময়ে শব্দ খুব একটা লাগে না তবুও একেবারে তো উড়িয়ে দিতে পারি না।

বৈশাখী ২০২৪