কাঁদলে পরে

রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর


কাঁদলে পরে তোমায় দেখি জ্যোৎস্না ছাড়া অন্ধকারে, 
শ্মশান কোকিল দিক ভুলে যায় মন্ত্র মাখা বনের ধারে। 

চর্যাপদের চরণ ভেঙ্গে মত্ত হরিণ গর্ভবতী, 
কালাচ সাপের মাথার মণি অশ্বমেধের ফেরায় গতি।

ভাবনাগুলো বর্ষাফলা সিঁদুরমোছা সদ্য নারী,
নাভীর ভাঁজে লুকিয়ে রাখে লজ্জা ঢাকা হলুদ শাড়ি।

বানের জলে পদ্ম ভাসে পরম্পরা সকাল সাঁঝে,
ফেলে আসা দুঃখগুলোয় লজ্জা ঢাকে বুকের মাঝে।

কাঁদলে পরে আমার দেশে জঙ্ঘা বেয়ে বৃষ্টি নামে,
গভীর বনে দোহাকোষের কাহ্নপাদের শরীর ঘামে। 

তোমার চোখে বন জ্যোৎস্নায় ময়নামতির মন্ত্র ডেরায়,
পাহাড় ছুঁয়ে মেঘনা নদী ইচ্ছেমতন শরীর ফেরায়।

কাঁদলে পরে তোমায় দেখি জ্যোৎস্না ছাড়া অন্ধকারে, 
শ্মশান কোকিল দিক ভুলে যায় মন্ত্র মাখা বনের ধারে।

বৈশাখী ২০২৪