সিলেবাসের বাইরে

বার্সেলোনা, স্পেন


আশৈশব অভ্যাসে যা হয় আর কী। বাংলা পরীক্ষার শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, হেমন্তের ১৫ নম্বরের রচনা…. আম জাম কাঁঠাল, কাগজের নৌকা, ক্যাপ দোদমা, মাংকিক্যাপে কে সি নাগের বাঁদরের লাঠিতে চড়ার অংক, বাকিটা জোড়াতাপ্পি। নম্বরে মিলায়ে বস্তু। তবু হঠাৎ বেশ চমকিত হলাম বটে… লেডি ডায়নার মৃত্যুর চেয়েও চরম রহস্যময়… বুঝিনি কিছুই, আসলে বুঝতে চেষ্টাই করা হয়নি!শুধু গুনে গেছি আঁটি, নচেৎ হতুম ভীত সন্ত্রস্ত! 
এ যেন ভীষণ দাবদাহ। চেনা ছকের বাইরে, আসলে সিলেবাসেরই বাইরে.. সেই যে Enkindled Spring এর টোপে অতিরিক্ত আয়োজন ও উৎসবে শুধু উষ্ণতার জন্যেই আলিঙ্গন করলাম ঋতুর অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তন, শুরু অশেষ এক আবহ। তখন থেকেই শুধু ঝলসেছি অহরহ। কখনো পুড়েছি, কখনো খেলেছি আগুন নিয়ে! এ কোন অভিসম্পাত…নেই অনুকম্।।, আছে শুধু জ্বলন্ত রিঙে বসে যেন সার্কাসের টিয়ে! কষ্টে তবু আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে উঠেছি আগাছার মতো ... বুঝিনি শুধু কখন লেগে গেছে দাবানল! সাতকাণ্ডের পর এই সেদিন বুঝলাম ব্যাপারটা আসলেই বায়োপ্লাসমিক ... পরিকল্পিত পথে ঢুকে ভিতরেই যত গোলমাল!
চোয়াল রেখেছি শক্ত, অস্থি করেছি শীতল আর গড়েছি এন্টিবডির চারতলা কারখানা! এখন গুনছি ওয়াটারলিলির পাপড়িতে শত শত পুনর্জন্ম আর কান পেতে শুনছি ফাদোর দু এক কলি!

বৈশাখী ২০২৪