হাত ভর্তি হলুদ বোঁটা শিশির ছোঁয়া ভালোবাসার পাপড়ি অটল নীলের জলছবি অন্তঃপুরে গোপন সখ্যতা কোঁচড়ে কোমল ফুলে এক আঁচল স্নিগ্ধ প্রার্থনা মাখে দু'চোখের তারায় আরশি ছায়া চূর্ণ ফোটা প্রতিশ্রুতির মুখের উপর পুতুল মায়া দুঃখ রেখা ভিজিয়ে বিষণ্ণতা স্নিগ্ধ শ্রীমুখে অনিকেত ঈশ্বরী মায়া ছায়ায় মোহময় সহন সীমায় দাঁড়িয়ে বেপথু আত্ম বিভ্রমে পরস্পর ঘূর্ণি সময় টেনেছিল অন্তরে তার রক্ত কুসুমে জন্ম সেতু শাখায় শেকড়ে রোদ বৃষ্টি শরীরে আশ্চর্য আত্মার কৌতুক জেগে ওঠে জগন্ময় মূর্তি প্রতি সকালে আগুন স্পর্শে নন্দন আলোয় ধানের সার সার আঁটি ডোগায় সোনা শস্য সামনে আধ ঘোমটা মুখ সকাল সিঁদুর লাল সূর্য টিপ কোঁচড়ে অক্ষয় নাভিকমল জন্ম শরীরে আশ্চর্য লোহিত পরশ জীবনের কথকতা জানে কি পদ্মনাভির অনন্ত নীলমণি নামহীন দয়াময়ী জানে ভূমিষ্ঠকালের অপেক্ষায় শিশু ঈশ্বর শিকড়ে জন্ম নাড়ি টান আদিসত্য আলোর দুয়ারে সাদা কালো সময়ের নীল বাতি কত রঙের গভীর কপটতা ছায়ায় মায়ায় হৃদপিণ্ডের আকুতি বোঝে সন্ন্যাসী সংসারী তবুও নিবিড় ক্ষরণ কালে রূপান্তরে ভাসে আত্মার প্রতিমা