দজ্জাল

সোনারপুর, কলকাতা ১৫০


    বৌটা বড্ড মুখরা। সেই বিয়ে হয়ে আসা ইস্তক মুখের চোটে জনার্দনবাবুর ‘ত্রাহি জনার্দন’ দশা। এখন এই আশির ঘরে পৌঁছে শেষ শয্যায় শুয়েও মুখ বন্ধ হয় না। গলায় জোর নেই তবু চিঁ চিঁ করে চেঁচায়, "বেআক্কেলে মিনসে! সব টাকা আমার পেছনে ঢাললে নিজের বেলায় যে চিতের কাঠ জুটবে না সে খেয়াল আছে?" 

      দাহ শেষ হতে হতে সন্ধে হয়ে গেল। নিস্তব্ধ ঘরে জনার্দন যখন ফিরলেন তখন প্রদীপটাও নিশ্চুপ হয়ে আছে। এমন শান্ত ঘরদোর জনার্দনবাবু গত ত্রিশ বছরে দেখেননি। সব উদ্বেগের অবসানে শ্রান্ত দেহটি খাটের ওপর এলিয়ে দিয়ে গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে পড়লেন তিনি। এখন আর বেটাইমে ঘুমোলে গাল দেবে না কেউ। 

     ঘুম ভেঙেই শুনলেন কানের পাশে অতি পরিচিত কর্কশ কন্ঠে কে যেন বলছে, "ওমনি পিছু পিছু এসেছে। ড‍্যাকরা মিনসে দুদন্ড শান্তিতে একা থাকতে দিলোনি গা!"

বৈশাখী ২০২৪