আকাশে জমে উঠছে শ্যামবর্ণের অসুখ বিকেল। পান বরজের সারিসারি সবুজ পাতায় আনন্দ ঝলমলিয়ে উঠে, গড়িয়ে যাচ্ছে আলো । মাটির ঢেলা-পাহাড়ের চূড়ায় সূর্যলেখার শেষ কবিতা চুঁইয়ে, ঝরে পড়ছে মৃদু ... সাইকেল, উঠোনে স্ট্যান্ড করিয়ে সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠে যাচ্ছে সময় হিসেবে, বাজার খরচের চেয়ে আয় কমে গিয়ে, আয়ু কমে যাচ্ছে যেন! সে দেখছে, ঈশ্বরের অক্ষর-শব্দে কপাল রচনা করা রাজার মতো একটা বাজপাখি উড়ে যাচ্ছে, দূরে । তার নখর প্রবাহে জ্বলজ্বল করে উঠছে পথ । অথচ মানুষ অসহায়, অন্ধকারে, এই সমস্ত যন্ত্রণাই শুধু মৃত্যুরেখা আরও স্পষ্ট করে তোলে, এই ভেবে চুপ হয়ে বসে থাকে স্থির। আর ভাবে, অমরত্ব না-চাওয়াটাই বোধহয় ধর্ম , জীবনক্ষেত্রে এটাই সাংসারিক হলে, তবেই বেঁচে থাকা যায়।