হলুদপাতাদের গাছ

সিমলাপাল, বাঁকুড়া

মাঝে মাঝে, বিশ্বাস করো, নোনাধরা ভোরের গায়ে 

বসে শুধু শুনি কোন সে গাছের শ্বাস... ক্লান্ত, বিবর্ণ, হলুদ! 

হলুদে হলদে হয়ে আসি আমি, আমার ভেতরের সবটুকু তারা! 

আজ না, আজ না, ওই কবে যেন পুরোনো কুয়াশায় জেগে ছিল ওইসব তারা 

ফ্রেমেবাঁধা সিঁড়ি ধরে দাঁড়ানো পেয়ারাফুল ঝরা বারান্দাটির মুখে 

সেই উলখোলা সোয়েটার, গাঁটে গাঁটে লেপ্টে আছে পুরোনো সমুদ্রের দাগ! 

ফর্দে লেখা ডিগ্রিকটা স্বপ্ন দেখতে শেখায়নি আমাকে 

নুনতেলের শিশির গভীরে ক্ষয়ে যায় আধুলি গল্প যত

আমাদের তো কৈশোরেই রূপোলি স্রোতের মতো চুল আসে চোখ ছেয়ে! 

তারপর সহস্র মৃত্যু, লজ্জা, দুঃখ, ভালোবাসা বিছিয়ে আছে আঁকাবাঁকা গলিপথে 

স্থির হয়ে বারোয়ারি খাতার ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকি একা 

স্থির হয়ে থাকতে থাকতে... কবে যেন বরফ-বন্যার শেষে ভেসে এলো বীজ

শোনো, মাঝে মাঝে এই শিরার ভেতরে শিকড় গজিয়ে ওঠে 

শোনো, পৃথিবীজোড়া শীতে আমি রয়ে যাব গাছ হয়ে 

দেখে যাও, হলুদ হয়েও আমি বেঁচে আছি কত পাতা! 

বৈশাখী ২০২৪