রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে পড়ল কেউ আমায় বলেছিল, “যখন রাতের আকাশে দেখবে কোনো তারা হাসছে। হাসতে জানা সেই তারাটা হবে তোমার।” একটা তারা আমায় দেখে হাসল, তারপর পায়ের কাছে খসে পড়ল সেই তারা। দেখলাম তারার ওপরে খুদে রাজকুমার। সে বলল, “নমস্কার। দেখলাম পৃথিবীতে মানুষ অনেক জায়গা দখল করে আছে। যদি সব লোক ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়ায় তাহলে একটা দেশেই সবাই ধরে যেত।” আমি বললাম, “ভাগ্যিস পৃথিবী এত বড়। সবাই কাছাকাছি থাকলে, সবার ‘করোনা’ হয়ে যেত। এবার বল, তোমার ভেড়াছানা কেমন আছে?" সে বলল, “ ও তো আর ছোটো নেই, বড়ো হয়ে গেছে। আচ্ছা আমি এখন যাই, বেশিক্ষণ থাকলে ‘করোনা’ হয়ে যেতে পারে।” আমি বললাম, “চিন্তা নেই, আমি তোমাকে পঞ্চাশটা মাস্ক দিলাম। তুমি আমাকে তোমার সেই গোলাপ ফুলটা দেবে যে ফুল সারা ব্রম্ভ্রান্ডের মধ্যে অদ্বিতীয়? আর একা একা ভাল্লাগে না। আমি ওকে পুষব।" খুদে রাজকুমার বলল, “বেশ, আজ থেকে ওটা তোমার। কিন্তু ওর খুব যত্ন করতে হবে। তুমি ওর যত্ন করতে পারবে তো?" আমি বললাম, "আমি পারব।" ঠিক তখনই আমার গোড়ালি ঘেঁষে আলোর রশ্মি ঝলকে উঠল। সে চলে গেল। পরক্ষণেই দেখলাম আমার হাতে কাঁচে ঢাকা সেই ফুলটি আর একটা চিঠি, “ফুলের খেয়াল রেখো, আকাশের দিকে নজর রেখো। যদি কোনো তারা হেসে ওঠে আমি আবার আসব।" **শ্রীপর্ণা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী**
5 Responses
আনন্দম
দারুণ গল্পটা শ্রীপর্ণা দিদিভাই, স্বপ্নের মতো গল্প ❤️!
শ্রীপর্ণ া তোমার লেখা খুব ভালো। আরো
পড়তে চাই। সুন্দর ভাবনা তোমার। আমি
তোমার লেখাটা তোমার মায়ের পোস্টে পড়ে
ফেলেছি আগেই। কমেন্টও করেছি।
শ্রীপর্ণা অনেক শুভেচ্ছা।খুব ভালো লিকেছ
मेरे लिए गर्व का विषय है ।बहुत बहुत बधाई ।