দর্পণে কার মুখ অনুরাধা চৌধুরী হরিনাভি, কলকাতা ১৪৮ আয়নার সামনে দাঁড়াতেই আমার মুখটা অনেকগুলো মুখ হয়ে গেল। শৈশব, কৈশোর আর নব্য যৌবনের স্মৃতিতেই অমলিন থাক চিরদিন সেই মুখ, দর্পণে সে মুখের ছবি খুঁজে পাওয়া ভার! কে জানে কখন হারিয়ে গেল সেই চেনা মুখ... দিন বয়ে গেল নদীর বহমান স্রোতের মতোই ; বাল্যকালে ভীরুর মতোই, যে প্রণয় ব্যক্ত হয়নি আজও, শুধু সে প্রণয় ধরা আছে হৃদয়ের মাঝে, আয়নায় নয়; উচ্ছল যৌবনে কামনার মুখ শুধু চেয়েছিল একদিন ভালোবাসা, সে মুখের ছবি আয়নায় নেই; তবে? তবে আমি কেউ নই!! তবু কেন শিল্পের স্থবিরতা আদৃত হবে সমাজের কাছে? আমি দেখেছি সে আশার আলো, যেন কতকাল আগে ভ্যানগগের আঁকা এক অয়েল পেন্টিং, বাস্তবতার কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল সেই মুখ। তপ্ত বৈশাখের চেতনায় ধরা দিল বাস্তব অস্তিত্ব, অসফল জীবনের কোনো অঙ্গীকার নেই, বোঝা গেল, যৌবনের শেষে ।। নির্বাক মুখে গর্জন তেল মাখিয়েছেন বরেণ্য শিল্পী, চিন্ময়ী মৃন্ময়ী হ'য়ে সবাই -এর ভালোবাসা পাবে! শিল্পীর কোনোই দায়বদ্ধতা নেই শিল্পের কাছে! সময়ের অনেক প্রতিবিম্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে এক ধ্যানমগ্ন তপস্বিনী যেন, সেই কবেকার চেনা মুখে অচেনা প্রতিচ্ছবি ; নির্বিকার, প্রত্যাশাহীন, অপাঙ্কতেয় প্রেমে... আয়নায় একটাই ছবিতে দেখেছি আমারই অনেক প্রতিচ্ছবি!