খুচরো পয়সার মতো কবিতা ঝনঝন করতে করতে একদিন, কোনো ফাঁকা হলুদ দেওয়াল ঘেঁষে সেই স্কুলফেরত ছোট্ট মেয়েটির দিকে বাড়িয়ে দেব আঙুল, হাতসমেত সমস্ত টিপিটিপি রোদ্দুরের গলিটা! বসন্তবৌরীর পাশ থেকে সন্ধ্যা-সন্ধ্যা গোধূলিটিকে সঙ্গে নিয়ে ছুট্টে যাবে সে তারপরে ফুটপাথ, পথ বেয়ে এই শহরের সব একলা জানালা-দরজায়...গহীন-গভীরে! যেখানে কাঁচা ঘোরে তলিয়ে থাকা ঠাকুমার বয়সী গম্ভীর বইটিও চিরকুট লেখে চুপিচুপি হাসতে চায় বলে যেমন চিল দেখে হিংসায় শ্যাওলা জমিয়ে নেওয়া আমার পুরোনো কালো ছাতাটিও জানে না সেই তারও চিল হওয়ার দিন...যেদিন ঘরে পা রাখবে জলফড়িং ডানার বন্যা-সবুজ মেয়ে! একে-অন্যের শিকড় ছুঁয়ে না-চেনার পৃথিবীটাতে বাস করেছি অনেকগুলো আলোকবর্ষ, ওইখানে তালা খুলে অঙ্কগুলো যদি না মেলে আর, সুত্রের তলা বিছিয়ে থাকা পাপড়ি দোপাটির সংখ্যাকটি কুড়িয়ে পুরোনো হারমোনিয়ামটাকে তুলে বেগুনি রঙ মাখাবে সে...সেদিন মনের নুন-চিনি মাটিতে গুলিয়ে একাকার তারপর ওই জল-জল হাত ধরে পাতার ফাঁকের বেলফুলটির মতো নরম ঘুম! এ ঘর ও ঘর নয় শাখাপ্রশাখা ধরে দৌড়ে বেড়াক ওই মেয়ের বন্যা-সবুজ এ ঘর ও ঘর নয় বাটি-বাটি ঘুরুক বন্যা-সবুজ স্বপ্ন, বেলফুলের মতো ঘুম! আসলে বৃষ্টি তো সেই একটাই বাড়ির মেয়ে, আকাশ যাদের ছাদ!