মায়াবী শেকড় ঘরে

কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর

  
খোলা পথে হেঁটে যাওয়া নিরন্তর 
যতদূর চোখ দু'ধারে গাছের পাতা ঘাসের ডগায় 
হীরার দানায় ছয়লাপ বোঝে না মন্বন্তর,  
মানুষের মধ্যেই অবয়ব বেহিসেবি 
অদৃশ্য মাকড়সার জাল ঘিরে আছে 
থমকে আছে আদুরে প্রেম আর অখণ্ড অবসর। 
#
বিশল্যকরণী জানে না ছবি মোমবাতি মঞ্চ পালাগান 
দরজা খুলে বিষণ্ণতা দু'ঠোঁটে কাঁপছে অস্ফূট কথা, 
গন্ধহীন ফুলেদের উৎসবে ছয়লাপ মাঠঘাট 
দপদপ আগুন শিখা গিলছে সারাক্ষণ 
কোথাও হাঁ মুখে মাটি জ্বালা জুড়োবার ছায়া।  
#
চেনা জল জমির ধারে বন পাশে মরা গাছের সাঁকো 
ছোট মাছ আর বিল হাঁসেদের উজানি পরব, 
রক্ত রঙের বুকের ভেতর অপরাজিতা অমৃত উৎসব। 
কোল জুড়ে মৃত্যুহীন নেই সর্ষে ঘরের কথা  
না সন্তানসন্ততি শরীরগুলো স্থির নীরব সম্বোধনে। 
#
জীবনগুলো অনড় নুড়ি পাথর সমুদ্র জানে 
রাত্রি ভোর জানে হাজারো আগুনে সূর্যের লাল 
সকল মানুষ ফেরে জন্ম বলয়ে জড়িয়ে মায়াবী শেকড় ঘরে। 

বৈশাখী ২০২৪