দৃশ্য এক “কিন্তু তাই বলে তুমি ফের দেশত্যাগী হবে দাদাবাবু এটা কী লেয্য কাজ হল এট্টা!” “নিজে তাহলে পালিয়ে এলে কেন!” “ভয়ে! বউ তো নয়, পেত্নি, রাক্ষসী একটা! বাদ দাও দিকি! অনাদি চাকর, অভীক তার মনিব কিন্তু একজন বউয়ের ভয়ে, একজন বিয়ের ভয়ে ঘর ছাড়া। পরদিন সকালেই সেই খামারবাড়িতে হৈ হৈ করে একদল মহিলা গাড়ি থেকে নামলেন। প্রথমজনের মাথায় ঘোমটা, হাতে খাবার দাবারের ঝোলা। “এবার থেকে এইখান সঙ্গি নিয়েই বিদেয় হয়ো বুজলে!” ঘোমটা মাথা, অনাদির হাতে খাম ধরিয়ে দিয়েই ঝামরে উঠল। “কী হল! আগে গেলো গে যাও! দু দিন অষুধ পড়েনি পেটে! খেয়ে নিল অনাদি চুপিচুপি। কাল থেকেই মাথা ঘোরা শুরু হয়ে গেছিল। দৃশ্য দুই “আমার নিজেকে খুব ছোট লাগছে! ছিঃ! আমার জন্য আপনি আবার ইউ এস চলে যাবেন…” “না, না, মানে সে রকম কিছু নয়…” অভীক আড়চোখে দেখে দীঘি ভর্তি জল,কুসুমরঙা রোদে বিছিয়ে আছে-- “বিয়ের জন্য কেউ লুকিয়ে পালায় এভাবে, আমাকে যদি ভরসা করে সত্যিটা জানাতেন, আপনাকে এমন কষ্ট করে, এতদূর… আমি কিন্তু শুধু এইটুকু বলবার জন্যই এসেছি। বাড়ি ফিরে চলুন!” ভূত পেত্নি ডাইনি কিচ্ছু নয়, অভীক তার ছোটবেলার সাদা পরিটাকে দেখতে পেল।