যক্ষ

বিষ্ণুপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

আজ সকালে এক হারানিধিকে খুঁজে পেয়েছেন দীপ্তেন্দু কর। 
যদিও খুব অদ্ভুতভাবেই। 

বাবা আগেই মারা গেছিলেন। কয়েকদিন আগে চলে গেলেন মা। ভোরবেলা মায়ের শূন্য ঘরটাতে ঢুকেছিলেন দীপ্তেন্দু। বাতাসে মায়ের গায়ের গন্ধ ভেসে আছে। চারিদিকে ছড়িয়ে কত স্মৃতি।

 আলনার নিচে ছোটবেলার অ্যালুমিনিয়ামের সুটকেসটার দিকে চোখ পড়ে। ওটা মায়ের স্মৃতির ঝাঁপি। ওটার মধ্যে তাঁদের দুই ভাইবোনের ছোটবেলার নানান জিনিস ঠাঁই পেয়েছে। যেগুলো দুনিয়ার চোখে বাতিল। কিন্তু মায়ের কাছে ছিল অমূল্য সম্পদ।
বিছানার উপর সুটকেসটা রেখে খুলে ফেলেন দীপ্তেন্দু।
ওঁদের দুই ভাইবোনের ছোটবেলার কাজল লতা, বোনের সেলাই করা রুমাল, তাঁর রবারের বল, হুইসেল, কাঁচের গুলি, বাবার চশমা, হাত ঘড়ি। আরও কত কী সব । হঠাৎ উপরের স্তরের জিনিসপত্রের পেছনে উঁকি দেয় একটা লালচে খবরের কাগজের মলাট। বইটা মুহূর্তে হাতে তুলে নেন দীপ্তেন্দু।

এই তো সেই হারিয়ে যাওয়া বইটা!
এটা তাহলে হারায়নি!

মা-ই তাহলে দীপ্তেন্দুর নাগালের বাইরে সরিয়ে রেখে দিয়েছিলেন ইচ্ছে করে!
দীপ্তেন্দু চট করে খুলে ফেলেন শেষের দিকের সেই পৃষ্ঠাটা।

এই তো সেই ছবিটা!

অপলকে তাকিয়ে থাকেন দীপ্তেন্দু। এত বছর পর এতটুকুও ঝাপসা হয়নি ছবিটা। 
একটা অদ্ভুত তারা মিটমিটে আদিগন্তব্যাপী আকাশ। ধূসর রঙের সাথে লেপে আছে মারাত্মক সিঁদুরে আভা। আর সেই আকাশের বুকে, ছবির ঠিক কেন্দ্রে হাঁ করে আছে এক সর্বগ্রাসী কৃষ্ণগহ্বর।
 
কলেজ স্ট্রীটে দীপ্তেন্দুদের কাকার একটা বইয়ের দোকান ছিল। মূলতঃ পুরাতন বই বেচা কেনা হত সেই দোকানে। কৈশোরে মাঝে মধ্যেই সেখানে হানা দিতেন দীপ্তেন্দু। আর পছন্দ মাফিক খান দুই তিন বগলদাবা করে বাড়ি ফিরতেন। চরম গল্প বই পড়ার নেশা ছিল তাঁর।

ক্লাস টেনে উঠেছেন সবে।
সেবার কাকার দোকানে এই অদ্ভুত বইটা হাতে আসে তাঁর। বাংলা, ইংরেজি বা হিন্দিও নয়। অচেনা অজানা সব অক্ষর। কিন্তু বইটার মধ্যে এমন কিছু ছবি ছিল যেগুলোর মোহে বইটাকে বাড়ি এনেছিলেন দীপ্তেন্দু। এক একটা ছবিতে ছিল যেন এক একটা রহস্যের হাতছানি । 

বিশেষ করে এই ছবির দিকে বহুক্ষণ ধরে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করত তাঁর। 

বইটা বাড়িতে আনার দিন রাতে ঘুমানোর আগে সেই পৃষ্ঠাটা খুলে দেখছিলেন ছবিটা। তারপর কখন যেন ঘুম নেমে এসেছিল তাঁর চোখে। ঘুমের মধ্যে মনে হয়েছিল অসীম আকাশের কেন্দ্রের সেই গহ্বরটাতে মাথা গলিয়ে দিলেন তিনি। তারপর সরীসৃপের মতো হামাগুড়ি দিতে লাগলেন। 
 শুরু হলো আলকাতরা কালো অন্ধকার সংকীর্ণ এক টানেল। দমবন্ধ করা সে অন্ধকার। একবার মত বদলালেন। আর এগিয়ে কাজ নেই। পিছতে হবে। যে পথ দিয়ে এসেছিলেন আবার সেই পথে। কাজটা যদিও কঠিন। অভিমুখ পরিবর্তনের উপায় নেই। শরীর ঘষটে পেছন দিকে চলতে হবে। আগে পা। পিছে মাথা। দুই হাতের ভরে পেছনের  দিকে ঠেলে দিলেন শরীর। কিন্তু পেছানো গেল না তো! পায়ের পাতা দেওয়ালে ঠেকে গেল। নিরেট দেওয়াল। এগুনো ছাড়া আর দ্বিতীয় উপায় নেই। অগত্যা বুক ঘষে আবার সামনের দিকে এগুতে লাগলেন। কনুইয়ের ছাল ছড়ে জ্বলছে। উপুড় হওয়া অবস্থায় দম ভারি হয়ে আসে।

তারপর হঠাৎ নিজেকে আবিষ্কার করেন এক অসীম শূন্যতায়। 
আর সেই অসীম শূন্যে  তাঁর পায়ের নীচে ভাসমান শুধুমাত্র একটা এক ফুট বাই এক ফুট সেলোফেন স্ল্যাব। তার উপর দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। আশ পাশ উপর নিচ যতদূর চোখ যায় কোত্থাও কিছু নেই। মাটি নেই। গাছ নেই। জল নেই। প্রাণের কোনও চিহ্ন নেই। কিছুই নেই। শুধু আছে শূন্যে ভাসমান সেই এক চিলতে স্ল্যাবটা। আর তার উপর তিনি। 
স্বচ্ছ বায়ু স্তরে মিশে থাকা স্ল্যাবটার কোনও দৃষ্টি গ্রাহ্য অস্তিত্ব ছিল না কিন্তু।

স্ল্যাব বরাবর স্পষ্ট একটা অনুভূমিক বিভাজন তল এফোঁড় ওফোঁড় করে দিয়েছে শূন্যতাটাকে। সেই তলের উপরের দিকের শূন্যতাটা আলো ঝলমলে। আর নীচের দিকে ঘোলাটে অন্ধকার কুয়াশাচ্ছন্ন।

হঠাৎ একটা ঘূর্ণি স্রোত জাগে। কুমোরপোকার শরীর ঘিরে মাটির গুটির মতো তাঁর শরীরের চারপাশে অসংখ্য বইয়ের একটা আস্তরণ তৈরি হল।  
দম আটকে আসছিল তাঁর। 
শুরু হয় কাউন্ট ডাউন।
সময়ের মধ্যে আয়ত্ত করতে  হবে এই সমস্ত বইয়ের সব বিষয়বস্তু।

তাঁর ষষ্ঠেন্দ্রিয় জানান দেয় দুটো সেলোফেন স্ল্যাব গজিয়েছে। একটা উপরের আলো ঝলমল অংশে। অন্যটা নিচের কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকারে।

তাঁকে যেতে হবে আলোর মধ্যে ভেসে থাকা উপরের স্ল্যাবটাতে। কিন্তু চুম্বকের মতো মারাত্মক মরণটানে টানছে স্যাঁতসেঁতে অন্ধকারে নিমজ্জিত নিচের স্ল্যাবটা।
সে টানের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা নেই যেন তাঁর।

তিনি দেখছেন শূন্যে ভেসে উঠল তাঁর বাবা মায়ের করুণ মুখ। বাবার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ঘেমো কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। মায়ের কান্না ভেজা চোখে করুণ এক আকুতি।

হঠাৎ কোথা থেকে অসংখ্য চেনা অচেনা মুখের কোলাজ ঘিরে ধরলো তাঁকে। তাদের কুটিল চোখে বিদ্রুপ। তাদের লালচে চোখে রগরগে ধিক্কার, বীভৎস উপহাস।
বাবা মায়ের মুখ হারিয়ে যায় সেই কোলাজের জটে।  

ক্রমশঃ তাঁর সেই পনেরো বছরের সকল চেতনায় জেগে থাকে একটাই ভয়ের অনুভূতি।
তাঁকে পারতেই হবে! তাঁকে সব বাধা কাটিয়ে উঠে পড়তেই হবে উপরের স্ল্যাবটায়!
কিছুতেই হেরে গেলে চলবে না!

কিন্তু আচমকা সময় শেষের হুইসেল বেজে ওঠে।

 তিনি বুঝতে পারেন সময় শেষ! উপরের স্ল্যাবটাতে ওঠা হল না আর!
 গো হারান হেরে গেছেন তিনি!

তীব্র কান্নার দমকে দম আটকে আসে তাঁর।
 
"দীপু... দীপু…"
মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙে দেখেছিলেন তারস্বরে বাজছে ভোর পাঁচটার অ্যালার্ম।

সেটা ছিল তাঁর মাধ্যমিকের বছর। তাই একফালি পাশ কামরাতে তাঁর নির্বিঘ্নে পড়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। অন্য ঘরটাতে বাবা মা আর বোন। তখন বাবাদের চটকলের গেটে তালা পড়েছে। লক আউট চলছে। বাবাদের মাইনে বন্ধ হলেও কোম্পানির দয়ায় দেড় কামরার থাকার জায়গাটুকু বজায় ছিল তখনও।
বারান্দার তোলা উনানে ডেকচিতে রেশনের আতপ চালের মধ্যে সাদা ধুতির ছেঁড়া ফালিতে মুঠো দুই সেদ্ধ চালও ফোটে তখন রোজ। দীপ্তেন্দুর জন্য অতি টানাটানির দিনে ছিল এই বিশেষ ব্যবস্থা। 

এ স্বপ্নটা পরপর দিন তিন চার দেখার পর, মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে সবটাই বলে ছিলেন তিনি মাকে।
আর তারপর হঠাৎ এক দিন গায়েব হয়ে গেছিল বইটা।
অনেক খুঁজেও আর পাওয়া যায়নি সেটা। যদিও স্বপ্নটা ঘুরে ফিরে আসত কোনও কোনও রাতে।

//২// 

এখন মধ্য রাত। দীপ্তেন্দু কর তাঁর বিশাল আয়তনের ব্যক্তিগত লাইব্রেরীর ডিভানে আধশোয়া। এ লাইব্রেরি তাঁর বড় সাধের। দেওয়াল জোড়া সব বইয়ের আলমারি ভর্তি দেশ বিদেশের বই। এককালে বই পড়া তাঁর নেশা ছিল । বর্তমানে বই জমানো। 

রোজই নিজের কেরিয়ার আর পেশাগত কাজের চাপে মধ্য রাত উত্তীর্ণ হয়। তারপর তিনি চার তলার এই লাইব্রেরিতে থিতু হন। এক একদিন এক একটা বইয়ের দু একটা পৃষ্ঠা চেখে দেখেন। তবে পৃষ্ঠা ওল্টানোর আগেই তাঁর চোখ বুজে আসে ঘুমে। 
আধশোয়া হয়ে বুকের উপর  খুলে ধরেন সকালে খুঁজে পাওয়া ছোটবেলার বইটা। আজ আবার ছোটবেলার সেই স্বপ্নটা দেখার থ্রিল পেতে চায় তাঁর মন।

প্রথম পৃষ্ঠায় সেই সব অচেনা ভাষার গুঁড়ি গুঁড়ি অজানা সব শৃঙ্খলাবদ্ধ হরফ। পৃষ্ঠা উল্টিয়ে শেষের দিকের সেই আকাশের ছবিটা মেলে ধরেন।
আকাশের সেই অন্ধকার গহ্বরে সরীসৃপের মতো হামাগুড়ি দিয়ে আবার ঢুকে পড়েন দীপ্তেন্দু কর। শুরু হলো সেই আলকাতরা কালো অন্ধকার টানেল। দীপ্তেন্দু জানেন পেছবার উপায় নেই। তাই হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে চললেন।

কিছু পরে উঠে দাঁড়াবার মতো এক ফালি একটা ফাঁকা জায়গা মিলল।

কিন্তু এবার জায়গাটা অন্যরকম।
 অন্ধকার পাতালগ্রাসী এক সিঁড়ির আভাস জেগে থাকে সামনে।
দীপ্তেন্দু সিঁড়ির প্রথম ধাপে পা রাখেন। পায়ের ধাক্কায়  কিছু একটা ঝনঝন করে ওঠে। একটা থলি। হাত গলাতেই চমক। হাতের মুঠোয় হলুদ রঙা সব চাকতি আর নানান শংসাপত্র।

মোহর! দীপ্তেন্দু করের চোখ চকচক করে ওঠে।
পরের ধাপের দিকে পা বাড়িয়ে দেন তিনি। তখন  ঠিক তাঁর পেছনে  খুট করে একটা শব্দ ওঠে।

ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেন তার ঠিক পেছনে কোথা থেকে যেন আমদানি হয়েছে একটা মস্ত দাবার বোড়ে।
সেই বোড়ের সারা গায়ে দীপ্তেন্দু করের নানান বন্ধু বান্ধবদের মুখ আঁকা। 

হিসহিসে একটা কণ্ঠস্বর বলে ওঠে, "এক ধাপ নামলেই এই বোড়ে আমার। আর বন্ধুরাও হবে সব ভ্যানিশ! "

গ্রাহ্য করেন না দীপ্তেন্দু।
কারণ ততক্ষণে তিনি পা বাড়িয়ে পরের ধাপে আর একটা থলির অস্তিত্ব টের পেয়ে গেছেন। 

এ ভাবে একটা একটা করে ধাপ নামতে থাকেন তিনি। লাভের ঘরে জমে একটা করে মোহর ভর্তি থলে আর নানান শংসাপত্র। আর হারাতে থাকেন পরিজন, স্বজন, শখ আহ্লাদ আরও কত কী।

সবই এক এক করে ছেড়ে যাচ্ছে তাঁকে। তখন যখের ধনের মালিক দীপ্তেন্দু কর ভ্রূক্ষেপ করছেন না তোয়াক্কা করছেন না কোনও কিছুকেই। কে গেলো আর কী থাকল সে বিষয়ে তাঁর কোনও আবাহনও নেই বিসর্জনও নেই।

পরবর্তী ধাপের দিকে পা বাড়াতে যাচ্ছেন তিনি তখন।
হিসহিসে গলা চেতাবনি দেয়,"এবার মনের ভিতর জমানো শৈশবের সব স্মৃতি সঞ্চয় কিন্তু হবে আমার!"

সে কথার রেশ ফুরাতে না ফুরাতে হঠাৎ আকাশ বাতাস তোলপাড় করে দীপ্তেন্দু করের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর ফেলে আসা শৈশবের থেকে  সুতীব্র আকুতি,
--"দাদাআআআআআআ.........দাদা রেএএএএ.......ঝড় আসছে রে ...ঝড়..."

ধুলোর ঝড়ে ঢাকা মাঠ। আন্দাজে শব্দ লক্ষ্য করে তিনি বাড়িয়ে দিলেন তাঁর হাত।
কিন্তু কোথায় তার বোনের হাতটা......খুঁজে পাচ্ছেন না তো তিনি .....
চরম অনিশ্চয়তার আতঙ্ক গ্রাস করে তাঁকে।

দূর থেকে ভেসে আসছে আরও কিছু শব্দের ভাঙা ভাঙা টুকরো, 
-'"দীপুউউউউউ...ভয় নেই…আমি এসে গেছি...."

ওই তো মায়ের গলা!
আর চিন্তা নেই!
পরম নিশ্চয়তায় আর আনন্দের আতিশয্যে কেঁদে ফেলে দীপ্তেন্দু করের বুকের ভিতর ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট দীপু।

 দীপ্তেন্দু কর কিন্তু এতক্ষণে না ঘুমিছেন, না স্বপ্ন দেখেছেন। তাহলে কী ছিল এসব??

  হয়ত এসব ছিল তাঁর একান্ত আত্ম সমীক্ষা। তাঁর একাকিত্বের ভয়।

একলা নির্জন রাত। আশ্রয় নেবার মতো আপনজনেরা কই!

বাবা নেই। মা নেই। 
একমাত্র বোনটারও খোঁজ নেন না কতদিন হয়ে গেল।
অভিযোগ করতে করতে ক্লান্ত বিদিশাও ছোট্ট ময়ূখকে নিয়ে  গতিপথ পাল্টে নিয়েছিল এক সময়। তারা আজ অনেক দূরের জগতের বাসিন্দা।

বুকের ভিতর চাপা কষ্টটা গুমরাতে থাকে।
বর্তমান পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই দীপ্তেন্দুর জীবনে শুধুই উত্থান আর সঞ্চয়ের ইতিহাস। শুধু সঞ্চয় বললে অবশ্য ভুলই বলা হবে। হারিয়েছেনও বেশ কিছু জিনিস। কিছু সম্পর্ক তাঁর কেরিয়ারিস্টিক একগুঁয়ে একমুখি আত্মসুখি মনোভাবের জন্য আলগা হতে হতে ঝরে গেছে। কিছু বা সময়ের অমোঘ নিয়মে ছিন্ন হয়ে গেছে, খসে গেছে তার জীবন থেকে। এসব নিয়ে আবশ্য ভাবার ফুরসত ছিল না তাঁর।  কেরিয়ার, নাম, যশ আর অপরিমেয় উপার্জনের তাগিদের তলায়  সম্পর্কগুলো ধামা চাপা পড়ে গেছে সময়ে সময়ে।

খুব একা আর নিঃসঙ্গ লাগে তাঁর। সান্নিধ্যের সন্ধানে তোলপাড় করে মন।
 পরিচিত মানুষদের নিবিড় সান্নিধ্য পেতে চান তীব্র ভাবে । 
কিন্তু বড্ড দেরি হয়ে গেছে যেন। 
এখন থেকে হয়ত প্রতিটি রাতেই শুধু ভোরের অপেক্ষায় থাকবে এক নিশাচর যক্ষ। কর্ম ব্যস্ততার সময়টুকুতেই শুধু তার রেহাই। 
একটা দমকা ভয়ের ঝাপটা আছড়ে পড়ে দীপ্তেন্দুর মনে। আগামী প্রতিটা নির্জন একলা রাতেই হয়ত তাকে গ্রাস করবে তার একাকিত্বের সর্বগ্রাসী দুঃস্বপ্নের মতো এক কৃষ্ণগহ্বর।

বৈশাখী ২০২৪