শুঁয়োপোকা

চুঁচুড়া, হুগলি

   আমার বাড়ি থেকে আমার ফ্যাক্টরির দূরত্ব বারো থেকে ষোলো কিলোমিটার। এটা যাকেই বলি, সেই পাল্টা জবাব দেয় - এমন আবার হয় নাকি? রোজ যাচ্ছো, তবুও এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলতে পারছ না, যে দূরত্বটা বারো কিলোমিটার নাকি ষোলো কিলোমিটার?
   আসলে একটা সর্টকাট রাস্তা আছে। একটু সরু, একটু ঘিঞ্জি। কিন্তু সকাল আটটার আগে বা বেলা বারোটার পর সেটা মোটামুটি ফাঁকাই থাকে। আবার শেষ বিকেলের দিকে হয় বেদম ভিড়। এটাই বারো। অন্য রাস্তায় বেশ খানিকটা অংশ একটা হাইরোডের ওপর পড়ে। বড়ো বড়ো মালবাহী ট্রাক এদিক-ওদিক থেকে যায় বটে। কিন্তু সেসব কাটিয়ে বাইক নিয়ে জোরে বেরিয়ে যাওয়াও যায়। তাই ষোলো হলেও বড়ো গায়ে লাগে না। 
   আজকে সকালে সাতটা কুড়িতে বেরিয়েছি। পৌঁছাতে হবে আটটার মধ্যে। এখন সকাল। তাই সরু রাস্তাতেই ঢুকলাম। ফাঁকা রাস্তায় বেশ যাচ্ছি। আমার সামনে দুটো টোটো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে চলছে। আমার কি আর ওদের পেছনে পেছনে গিয়ে রঙ্গ দেখার সময় আছে? পরপর হর্ন দিচ্ছি।  শেষে রাস্তার পাশে একটুখানি জায়গা পেতেই সাঁ করে বেরিয়ে যেতে না যেতেই সামনে আবার একটা স্কুলের গাড়ি। 
   আমি তো বেরিয়ে গেছি নিজের মতো। কিন্তু ওদের আবার নিজেদের মধ্যে কিছু লাগল না তো? চিন্তাটা মাথায় আসতেই বাঁদিকে হাত দেখিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। পেছনে তাকাই। টোটো দুটো সেই একই রকম নিজেদের মধ্যে কিছু একটা কথা বলতে বলতে নাচতে নাচতে আমাকে পেরিয়ে চলে গেল। আমার দিকে তাকিয়েও দেখল না। 
   যাক, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমার জন্যে তাহলে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। আর একটা বাঁচোয়া যে, সঙ্গে আমার বৌ নেই। সে থাকলে অবশ্যই জানতে চাইত - দাঁড়িয়ে পড়লে কেন? আবার তোমার সেই রোগ শুরু হয়েছে? সেদিন না বলছিলে, এরকম এখন আর হয় না? 
   এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব বিরক্তিকর। তবে ঠিক করে ফেললাম, এই রাস্তায় আর নয়, বেশি তেল পুড়লেও ফিরবো হাইরোড দিয়েই। 

   আসলে ঘটনাটার শুরু বছর পাঁচেক আগেই। তখন আমি সদ্য এই ফ্যাক্টরিতে জয়েন করেছি। বিয়ের জন্য খোঁজাখুঁজি চলছে, কিন্তু তখনো স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। বাড়ি থেকে এতোদূরে চাকরি করতে এসে কয়েকটা দিন হয়তো খুবই খারাপ লেগেছিল। তবে, ঐ সময় একসঙ্গে  বেশ কয়েকজন জুনিয়র অফিসার জয়েন করেছিল দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে। পরিচয় হল একে একে। দ্রুত মিশে গেলাম এদের সঙ্গে। 
প্রত্যেক উইক-এন্ডেই হতো কোনো একজনের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া- আড্ডা। 
   একদিন এই রকম একটা খাওয়া দাওয়া চলছে, এমন সময় আমার বন্ধু সচদেবের এল ফ্যাক্টরি থেকে ডাক। এটা সচরাচর হয় না, তবে একেবারে অসম্ভব কিছুও নয়। ফ্যাক্টরি থেকে গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। তাকে আমাদের আড্ডার ঠিকানায় আসতে বলে দেওয়া হল। 
   আমার পাশের অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতো সচদেব। ও তখন বিবাহিত। ওর ফ্ল্যাট থেকে মাঝেমধ্যেই কিছু না কিছু খাবার চলে আসে। সেদিন ঐ সময় ওর বউ নিজেও ওখানে উপস্থিত। সচদেব আমায় কিছু বলার আগেই আমি জানালাম, “তু ফিকর মত কর। ম্যায় ভাবিজিকো পঁহুছা দুঙ্গা।” 
মাথা নেড়ে সচদেব গাড়িতে উঠল।  
   আড্ডা আর জমল না। আমি বাইক স্টার্ট করে সামনে এসে দাঁড়ালাম। ভাবিজি লম্বা মানুষ, চুড়িদার পড়া। উনি দুদিকে পা দিয়েও বসতে পারতেন - আমি সিটের ওপর একটু এগিয়ে এলাম। উনি অবশ্য একদিকে পা দিয়েই বসলেন - একদমই ব্যাকহোল্ড ঘেঁষে। আমাদের মাঝে যা জায়গা ছিল, তাতে বোধহয় আরো একজন বসতে পারত। 
   সবাইকে টা-টা জানিয়ে এগিয়ে গেলাম। এটাও একটা সরু রাস্তা। এই রাতেও রাস্তার ধারে কলের পাশে জল নিতে আসা মহিলাদের ভিড়। ওপাশ থেকে আসা একটা বাইককে জায়গা দিতে গিয়ে বাঁদিকে একটু বেশি সরে এসেছিলাম হয়তো, পেছনে হঠাৎ একটা মাটির কলসি ভাঙার আওয়াজ পেলাম। 
   তখনো আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। ভাবিজি পেছন থেকে শুধু বললেন, “সরি।”এবার আমার মাথায় খেলল - তবে কি ভাবিজির এগিয়ে থাকা পা ঠেকে গেছে রাস্তায় নামিয়ে রাখা কোনো কলসির গায়ে! একটা হই-হই আওয়াজ উঠল। আর ওখানে কেউ দাঁড়ায়! আমার দুশোকুড়ি সিসির বাইক, আমি গিয়ার নামিয়ে অ্যাক্সিলেটর টানলাম।  


   আমার বিয়ের পর আমি আমার বউকে শাড়ি পরে বাইকে উঠতে পারতপক্ষে বারণ-ই করেছি। একদিকে জোড়া পা দিয়ে না বসে, দুদিকে পা দিয়ে বসতে বলেছি। ও এগুলো সবই মেনে নিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই জেনে নিয়েছি যে, ওর পায়ে পাঁচ নম্বর মাপের জুতো লাগে। এতে আমি গভীরভাবে আস্বস্ত হয়েছি। আর হ্যাঁ, গত মার্চে আমরা দুজন বাইকে করে বন্ধুদের সঙ্গে একটা দুশো-দুশো চারশো কিলোমিটারের মাঝারি সাইজের একটা ট্রিপ করে এসেছি। 
   হাইরোডে আমি স্বচ্ছন্দ, কোনো অসুবিধা নেই। বড়ো বড়ো গাড়ি মুখোমুখি এলেও আমার চাপ লাগে না। কেননা আমি বিশ্বাস করি যে, যত বড়ো গাড়ি, তার ড্রাইভার ততই দক্ষ আর অভিজ্ঞ। তাদের ওপর ভরসা করাই যায়। কিন্তু লোকালয়ের ভেতর গন্তব্যহীন পথিক কখন যে কোন দিকে ফিরবে, কেউই তার আন্দাজ করতে পারবেন না।
   এই তো কয়েক দিন আগে। একটা পিক-আপ ভ্যানকে টপকে আসার সময়েই মনে হলো, পেছন থেকে চিৎকার করে ড্রাইভার কী যেন বললো। আমি নিজেকে বোঝালাম - কী আর বলতে পারে? তোমার সঙ্গে ওর ঠোকাঠুকি তো হয়নি। কিন্তু মনের আরেক অংশ বললো - ঠোকাঠুকি হয়নি বুঝলাম, কিন্তু টপকে গিয়েই একটুখানি বাঁদিকে চেপে চলে আসা হয়ে গেছিল কি? অবৈধভাবে বাধা দেওয়াও কিন্তু ফাউল - শাস্তি ইনডাইরেক্ট ফ্রিকিক। আমি জবাব দিতে না পেরে চুপ করে রইলাম।
   সচদেবরা এখন এখানে থাকে না, বদলি হয়ে গেছে। তবে, আমার বিয়ের পর যখন বউকে নিয়ে প্রথম এখানে এলাম, তখন জিনিসপত্র গুছিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর সমস্ত কাজে আমাদের খুবই সাহায্য করেছে। সামনের দরজার বাইরে যখন চটি খুলে ভাবিজি ভেতরে আসেন, আমি লক্ষ্য করেছি ভাবিজির পায়ের মাপ আমার পায়ের মতো সাত বা আমার থেকেও বড়ো আট নম্বর হতে পারে।
    ফ্ল্যাটটা গ্রাউন্ড ফ্লোরে হওয়ার জন্য বর্ষাকালে খুব শুঁয়োপোকা ঢুকে পড়তো। বউ আবার শুঁয়োপোকা দেখলেই কেমন শিউরে উঠত। ঐ সময় ভাবিজি একটা ছোট কাগজের টুকরো নিয়ে ওগুলোকে ধরে কেমন অবলীলায় টুক করে জানলা দিয়ে বাইরে ফেলে দিতো। 
    আমার ফ্ল্যাটের দরজার বাইরে কয়েকটা টবে কয়েকটা ফুলগাছ লাগিয়েছিলাম। শুঁয়োপোকা সেগুলোর পাতা খেয়ে ফেলতো, আর গাছগুলো কেমন ঝিমিয়ে পড়ত। আমার স্কুলের এক মাস্টারমশাই একবার বলেছিলেন যে, একটা শুঁয়োপোকাকে যদি টবের কিনারা ধরে অন্তত একপাক ঘুরিয়ে দেওয়া যেতে পারে, তাহলে কচি পাতার হাজার গন্ধ পেলেও সে আর তার ঐ বাঁধা পথ থেকে বিচ্যুত হতে পারবে না। সে ঘুরতেই থাকবে, আজীবন। টবের মাটিতে সে আর নামতেই পারবে না। 
    আমি কয়েকবার ফুলগাছের টবের কিনারায় একটা শুঁয়োপোকা তুলে দিয়ে মুখের সামনে একটা ছেঁড়া কচি পাতার লোভ দেখিয়ে ওটাকে একটা গোটা চক্কর দেওয়ানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোয়ার্টার চক্কর দিয়েই ওরা মনঃসংযোগ হারিয়ে ফেলে, একপাশে নেমে আসে। হয়তো বা মাস্টারমশাই ওদেরকেও কথাটা বলে, আগেই সাবধান করে দিয়েছেন! 
    ফ্যাক্টরি থেকে কোনোদিন একটুখানি আগে বেরোতে পারলে এখনো আমরা দুজনে কোথাও বেড়াতে যাই। ও আবার কেনাকাটা করতে খুব ভালবাসে। এছাড়াও আরো অনেক চেনাজানা হয়েছে আমাদের এখানে। কখনো কখনো তাদের সঙ্গেও দেখা করতে যাই। উইক-এন্ডের আড্ডা আর নিয়মিত হয় না। তবে, মাসের মধ্যে দুটো-একটা অনুষ্ঠান তো পড়েই যায়। 
    বাইক চালাতে চালাতে আমার এই পেছনে তাকানো আর কখনো বাইক থামিয়ে দেওয়া স্বাভাবিকভাবেই আমার বউ খুবই অপছন্দ করে। প্রথম প্রথম একটু ক্ষুন্ন হলেও মুখে হয়তো প্রকাশ করতো না। এখন সশব্দেই জানায়। আমি যদি কখনো বলি, “পেছনে একবার তাকিয়ে দেখবে?” 
    ও সেদিকে না তাকিয়েই বলে, “দেখেছি, সব ঠিকঠাক আছে।” অথচ মাঝেমাঝেই আমি আমার বাইকের পেছনে টুকরো টুকরো বিভিন্ন জিনিসের ভাঙার আওয়াজ পাই।
    কোনো কোনো দিন ওকে নামিয়ে দিয়ে আবার আমি ঐ জায়গায় ফিরে এসে বোঝার চেষ্টা করি, ওখানে একটু আগে কোনো ছোটখাটো ছোঁয়া পেয়ে কেউ অসন্তুষ্ট হয়েছে কিনা। আমার বারবার মনে হয়, সেদিন রাতে যদি আমি পালিয়ে না যেতাম, তাহলে পরবর্তী সময়ে আর আমার এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হত না। একটা কলসির দাম আর কতো হতো? না হয় দিয়েই দিতাম।  


   গতকাল আমাদের ফ্যাক্টরিতে টেকনিশিয়ানদের মোটিভেট করতে আনা হয়েছিল বিখ্যাত এক মনোবিদকে। পুরো ব্যাপারটা দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। যথারীতি উনি খুব সুন্দর বললেন। তারপর লাঞ্চের টেবিলে ওঁকে একা পেয়ে, আমি এই সমস্যার কথা বললাম। নিজের হয় বলে বলিনি। বললাম - আমার এক ভাইয়ের এরকম একটা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। ক্ষতি হয়তো তেমন কিছুই করেনি, কিন্তু অনুশোচনা হয়েছে অনেক বেশি। সে তো আর বাইক চালাতেই চাইছে না। কিন্তু আমাদের ব্যবসা আছে। ছোটাছুটি তো করতেই হবে। 
   উনি শুনলেন পুরোটা। তারপর বললেন, “এটা খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। উনি সম্ভবত খুবই স্পর্শকাতর। এইসব মানুষের এরকম হয়। আপনি ওঁকে আমার চেম্বারে নিয়ে আসবেন। কয়েকটা সিটিং দিলেই মনে হয়, উনি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন।” 
   মনে মনে খুব খুশি হয়েও, আলতোভাবে ওঁর বাঁ হাত ছুঁয়ে শুধু বললাম, “থ্যাঙ্কিউ স্যার।”
   আজকে সন্ধ্যায় সব কাজকর্ম সেরে বেরোতে খানিকটা দেরি হয়ে গেল। ঠিক করে ফেললাম, আজকে আর ভেতরের রাস্তায় নয়। ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে বাইপাস ধরে গার্ডেন মোড় থেকে রিং রোড ধরে ফাঁকায় ফাঁকায় বাড়িতে ফিরবো। সময় হয়তো একটু বেশি লাগবে, তা লাগুক। 
   গার্ডেন মোড়ের আইল্যান্ডে গোলাকৃতি একটা পার্ক। প্রচুর ফুল ফুটে থাকে সবসময়। ফোয়ারাগুলো সন্ধ্যার পর রকমারি আলোর সঙ্গে নাচে। পুরোটা গ্রিল দিয়ে ঘেরা। 
   মোড়ের মাথায় আসতেই সিগন্যাল লাল হয়ে গেল। এখন তিন মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। আমার ডানদিকে- বাঁদিকে গাড়ি-বাইক পরপর এসে একেবারে ঠেসে ধরতে লাগল। এই সময় আমি শুধু আইল্যান্ডে চোখ রেখে আলোর ফোয়ারা দেখি - অন্য কোনো কথা ভাবি না। আলো সবুজ হওয়ার উল্টো গোনা দেখাচ্ছে সিগন্যালের ওপরে থাকা ডিজিটাল ঘড়িতে। 
   কেমন যেন একটা স্বপ্নের ডানা গজিয়ে উঠলো আমার অজান্তেই। আশপাশের ট্রাফিকের দিকে তাকিয়ে বললাম, পারবি আমাকে ছুঁতে! ঘড়িতে জিরো দেখানো মাত্র ক্ল্যাচ একবারে বেশ খানিকটা রিলিজ করলাম। সামনের চাকা বাতাসে চুমু খেয়ে ছুটতে শুরু করল। ইচ্ছে করে একটুখানি ডাইনে-বাঁয়ে হালকা ভাঁজ মারলাম। পেছনে একটা গাড়ি চাকা ঘষটে ব্রেক মারল। আমি ডানদিকে হেলিয়ে তখন আইল্যান্ড প্রদক্ষিণ করতে শুরু করে দিয়েছি। আমাকে এখন পৌনে এক পাক দিয়ে রিং রোডে ঢুকতে হবে - দুশো সত্তর ডিগ্রি। 
   অর্ধেক পাক বুক চিতিয়েই চলে এলাম। তারপরই মনে হলো, একটু কি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি? একবার দেখে আসব নাকি? আর তো মাত্র নব্বই ডিগ্রি। যদি সত্যিই কোনো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে? চলে গেলে তো এখন এটাই আমার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকবে। 
   রিং রোডে ঢুকলাম না। ডানদিক চেপে আবার আইল্যান্ডের পাশ দিয়ে চলতে থাকলাম। এবার স্পিড কমিয়ে দিয়েছি। কিন্তু পেছনে পেছনে অনেক গাড়ি, তারা হর্ন বাজিয়ে চলেছে। বাঁদিক দিয়ে একটা বড়ো গাড়ি আমাকে ঢেকে দিল। কারখানা যাবার বাইপাস রোড পেরিয়ে চলে এলাম। কিন্তু কিছু দেখতে পেলাম না। 
   তাহলে কি আর একপাক ঘুরে আসবো? একটা চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন করে যাওয়াটা উচিত হবে নাকি? । নিজের ওপর বিরক্তিতে আর ভয়ে আমি বুঝতে পারলাম যে, আমার গায়ের লোমগুলো সব খাড়া হয়ে উঠছে। তবুও আলোকমালায় সাজানো আইল্যান্ডকে সাক্ষী রেখেই আমি আবার ডানদিকে ঘুরলাম - ঘুরতেই থাকলাম।

বৈশাখী ২০২৪