বড় সুখে ছিল তারা এ সংসারধামে। গান ছিল, হাসি ছিল, ছিল মায়া প্রেম সন্তান-সন্ততি ছিল, পরিপূর্ণ সে গৃহে দেখিয়া ভরিত চোখ, যেন পবিত্র হেম। কালের চক্র ছুটে চলে, অবিরাম লয়ে পতি পত্নী দোঁহে মিলে অতীব যতনে সাজায় সংসারখানি মনোহর বেশে। কাটাইতে থাকে দিন, আনন্দিত পরানে সহসা ছন্দপতন, কাটিয়া গেল তার কার যেন কুনজর লাগিল প্রবল, মারণরোগেতে পত্নী ছাড়িল ধরিত্রী। দুঃখশোকে পতি পাইল আঘাত গিরিপ্রমাণ সন্তানের কথা ভাবিয়া করিল শপথ বাঁচিতে হইবে তবে হইয়া আত্মপ্রত্যয়ী।