ভোম্বলসর্দার
ধরা যাক – অধরাকে নিয়ে এইভাবে শুরু করি আবার নিচু নরম, কোমল নি-তে গান, অহংকার উপচাতে চায় এ পুনরায় ভ্রমণে, […]
ধরা যাক – অধরাকে নিয়ে এইভাবে শুরু করি আবার নিচু নরম, কোমল নি-তে গান, অহংকার উপচাতে চায় এ পুনরায় ভ্রমণে, […]
যে রঙের মেঘ ডাকলে তুমি গা থেকে ঝেড়ে ফেল ফ্যান্টাসি তারা আপাতত যাবতীয় কাঁটা টপকে বিদেশ ভ্রমণে গেছে দীর্ঘ নগর […]
একবার সাহস করে ঝাঁপ দিয়েছিলাম নদীতে বলেছিলাম নদী, তুমি আমায় ধরো – নদী কথা রেখেছিল আমার । তখন বিশ্বাস ছিল […]
যদি কথা দাও, তবে একবার ঘুরে দাঁড়াও পাহাড়ের মতো ঋজু। যদি ভালবাসো, তবে বয়ে আনো পলিমাটি, নদীর মতো আদরে। যদি […]
হাতে তখন জিয়নকাঠি একমুঠো ঈশ্বর কণা ভাসমান শব্দ তরঙ্গে খসে পড়ে অন্ন পথের দিশা অচেনা পাখিদের পালক ঝ’রে পড়ে শব্দহীন […]
“The truth is dark under your eyelids”. Charles Simic চুম্বন এখন একটি পরিত্যক্তপ্রায় শব্দ আমাদের ভাঙাচোরা কাঠের বাড়িতে, তা না […]
মায়ামেঘ চতুর্দিকে, মায়াভ্রম অন্তরীক্ষে জাগে অভিবাসন হাওয়া পাসপোর্ট নির্ধারিত নয় তবুও ভ্রমণে ভেসে দশদিক আহ্লাদিত হয় অভিখ্যা সম্পর্ক লেখে অনধিত […]
যেটুকু বলে চলে গেলে বালুচরে হাহাকার বয়ে যায় যেটুকু দেখার জন্য উন্মুখ পর্দা সরে গেলে দেখাতেই সুখ ইঁটের পাঁজর থেকে […]
সংঘমিত্রার কাছে যাব বলে বেরিয়ে অয়ন্তিকার কাছে চলে যেতে পারি, বিদীপ্তা জানত। চরিত্র জঞ্জির থেকে শব্দরা বেরিয়ে এলে সাদা পৃষ্ঠা […]
ছেলেটাই হেঁটে যায় সাহসের দোরগোড়ায় ছেলেটাই ধরে থাকে হাত-বদলের নড়বড়ে সিঁড়ি ছেলেটাই ঘাসফড়িং-এর কোল থেকে তুলে আনে রুগ্ন বাতাসের আড়কাঠি […]
একজনের আকাশ বেঁকে গিয়েছিল পূর্বে; আরেকজন এক পৃথিবী পশ্চিম- ওরা একে অন্যকে চায়নি। কিন্তু শীতটা যে বড্ড হিংসুটে – কারো […]
ভাত খাওয়ার পর ঠাকুমা বারান্দায় পা ছড়িয়ে পানের বাটা নিয়ে বসত দুপুর পাশে এসে বসলে সবচেয়ে বড় বাংলা পাতাটা বুড়ি […]
কাজের ফাঁকে নির্জনতা খোঁজেন মানুষ। আর এই নির্জনতা খুঁজতেই তার ঝালং এর কথা মনে পড়ে। আমি সুমনদাকে বললাম,সুমনদা চলো আমরা […]
সত্যি কথা বলতে কী, বাংলাদেশের প্রতি আমার যে খুব একটা টান ছিল তা নয়। বাবার কাছে ওপারের কথা শুনতে শুনতে […]
মোক্ষদার তখন গতর ছিল। চৌধুরী গিন্নির হাড়ের ব্যামোর কথা সবাই জানত। মোক্ষদা ছিল তার খাস চাকরানি। বচ্ছরভর ব্যামোর জ্বালায় কাতরাত […]
সম্পাদকের কলমে পৌষ পেরিয়ে গেছে অনেকদিন, মাঘের শীতকেও বাঘেরা গা থেকে ঝেড়ে ফেলেছে। বসন্ত পঞ্চমীর পলাশেরা ফুটেছে ডালে ডালে…ফাগুন আসতে চলল আমের মুকুলে। কিন্তু সে তো ‘অয়ি ভুবনমনোমোহিনীর’ আঁচলে। সাগরপারে এই অতলান্তিকের ধারে এখনও শীতের কামড় আর উত্তুরে বাতাসের শাসনে যে জীবন যায় যায়। তাই ‘পৌষালি’ প্রকাশ হচ্ছে পুরু কম্বলের তলা থেকেই, গায়ে তার শাল, মাথায় তার টুপি। লেখক পাঠক ভুরু কোঁচকাচ্ছেন বেশ বুঝতে পারা যাচ্ছে। আরে, শীত থাকুক বা না থাকুক, ক্যালেন্ডার বলে তো একটা বস্তু আছে তো, না কি? সেটা মেনে চলতে তো হবে! হক কথা! কিন্তু পরিকল্পনামত সব কিছু এগোতে গিয়েও থমকে পড়তে হয়। জীবননদীর ওপারে দাঁড়িয়ে সব ওলোটপালোট করে দিয়েও মুচকি হাসে যে তার জন্যে। গভীর বিচ্ছেদ থমকে দিয়েছে অভিব্যক্তির সম্পাদকদের। শীত নিয়ে লেখালেখির সম্পাদনা, অলংকরণের কাজ যখন তুঙ্গে, আকস্মিক এক প্রবল শৈত্যপ্রবাহে বিকল হল মন, বোধের জগৎ গেল অসাড় হয়ে। প্রখ্যাত লেখক, প্রযুক্তিবিদ, আড্ডা নিউ জার্সির পরম সুহৃদ, অভিব্যক্তির জন্মলগ্ন থেকে যিনি সাহস জুগিয়েছেন, সেই শ্রদ্ধেয় সুজন দাশগুপ্ত না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। পরপরই চলে গেলেন অভিব্যক্তির আর একজন একনিষ্ঠ পাঠক আর উৎসাহদাতা। বিখ্যাত রসায়নবিদ, ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত হিমাংশু ভট্টাচার্য। শোকের মিছিল চলছে যেন। আকস্মিকভাবেই হারালাম আড্ডা নিউ জার্সির বন্ধু, অভিব্যক্তির লেখিকা, পাঠিকা রানী সিনহাকে। বিচ্ছেদের ভারে নতজানু আমরা। তবে জীবনপথের পথিকরা থমকে পড়তে পারে, কিন্তু থামতে তো পারে না। তাই আবার উঠে দাঁড়ানো, আবার এগিয়ে চলা। গল্পে, অণুগল্পে এবার ‘শীত’ ভাবনার সোনার ধান। কতভাবে না শৈত্যকে এঁকেছেন গল্পকারেরা। ভ্রমণকাহিনিগুলিতেও নানা স্বাদ। কবিতার গুচ্ছেও নতুন ভাবনার কলি। পাল্লা দিয়ে ছবি এঁকেছেন শিল্পীরা, আলোকচিত্রেও শীতের বার্তা। কচিকাঁচারা এবারও আমাদের ভরিয়ে দিয়েছে, ওরাই তো আমাদের ‘নবপল্লবদল!’ অলঙ্করণ শিল্পীরা তাঁদের ভাবনাকে রঙিন রূপ দিয়ে সাজিয়েছেন অভিব্যক্তিকে। রঙিন, ঝলমলে অভিব্যক্তি পাঠকদের মন এবারও জিতে নেবে এই আশা রাখছি। পারসিপেনি, নিউ জার্সি ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ইতি - অভিব্যক্তির সম্পাদকমণ্ডলী অদিতি ঘোষদস্তিদার সংগ্রামী লাহিড়ী অমিত চক্রবর্তী অলঙ্করণ শিল্পী কবিতা: তমোজিৎ দেব গল্প: পীযূষ দাস অণুগল্প: সোমা পাল