অণু পরমাণু
আজ একটু অণু পরমাণু নিয়ে কথা বলা যাক। পরমাণু হল পদার্থের খুব ছোটো কণা। এরা আবার আরো ছোটো ছোটো কিছু […]
আজ একটু অণু পরমাণু নিয়ে কথা বলা যাক। পরমাণু হল পদার্থের খুব ছোটো কণা। এরা আবার আরো ছোটো ছোটো কিছু […]
আকাশে জমে উঠছে শ্যামবর্ণের অসুখ বিকেল। পান বরজের সারিসারি সবুজ পাতায় আনন্দ ঝলমলিয়ে উঠে, গড়িয়ে যাচ্ছে আলো । মাটির ঢেলা-পাহাড়ের […]
একটা উৎসবমুখর দিন থেকে আর একটা উৎসবে যেতে যেতে একবার সাঁকোর ওপর থমকে দাঁড়াও। অল্প সময়। ছল ছল জল। কাক […]
যান্ত্রিক দিন – জমা করে ব্যস্ততা রোজের সমুদ্র সন্ন্যাস – ছুটে চলার আহ্নিক গতি; সংলগ্নতাও বিপন্ন প্রবাস – একা …মিশে […]
মাঝে মাঝে, বিশ্বাস করো, নোনাধরা ভোরের গায়ে বসে শুধু শুনি কোন সে গাছের শ্বাস… ক্লান্ত, বিবর্ণ, হলুদ! হলুদে হলদে হয়ে […]
ছেলেটা যেকোন মিছিলের প্রথমে বুক চিতিয়ে হাঁটত। গুলি লাগলেই বাঁচুক মরুক; পরিবারটার হিল্লে হয়ে যাবে। চোখে স্বপ্ন এবার ভোটের পর […]
বেশ কিছুদিন ধরেই রেবার আচরণে একটু অস্বাভাবিকতা দেখছি। এমনিতে ধীর স্থির, সাত চড়ে রা কাটে না। আজকাল অফিস থেকে ফিরেই […]
খাটের পাশে জোড়া জানালায় বিস্তৃত নীল আকাশ ত্রিলোচনবাবুর। ঘন সবুজ গাছগাছালি। বসন্তের রংমিলান্তি। কোথাও কৃষ্ণচূড়ার আগুনে-লালের সঙ্গে জড়াজড়ি করে আছে […]
এক একসময় আমাদের গল্প রাখার জায়গা পাওয়া যেত না। হাতের নাগালে যা পেতাম তাতেই গল্প রেখে দিতাম। এমন কতদিন হয়েছে […]
ঘন অন্ধকারে শীতের তাঁবু জীর্ণ বসতবাটি বুভুক্ষু রাজপথের দুচোখে ঘুম প্রতিদিন উদ্বাস্তু জ্বরের প্রতিশব্দ মাপি নির্জন শঙ্খবেলায়।। তবু তোমার ভালোবাসা […]
সম্পাদকের কলমে ঘঙ, ঘঙ, ঘটাং, ঘটাং, ঘটঘটঘটঘট... ফায়ারপ্লেসের সামনে সমবেত সংগীত শুরু হয়েছে। অভিব্যক্তির কবিতা সম্পাদক ভারী বিরক্ত হলেন, "উফ, তোরা থামবি? এ তো আচ্ছা জ্বালাতন হল?" রবি একটু থমকে গেছে। রেবা কিন্তু ঘাবড়ায়নি। ধাতব কণ্ঠে উত্তর এল, "কেন, কী এমন রাজকার্য হচ্ছে, শুনি?" "বাহ্, কবিতাগুলো পড়ে বাছতে হবে না? তোরাই তো পাঠিয়ে দিলি, দেড়কোটি কবিতা!" "শুদু কি তোমায় নাকি? অন্য দু'জন সম্পাদককেও পাটিয়েচি, পঞ্চাশহাজার প্রবন্ধ, উনচল্লিশলাখ গল্প, সোয়া কোটি অণুগল্প..." রবিও এবার সাহস পেয়েছে। "ওরে থাম থাম,” কবিতা সম্পাদক কানে আঙুল দিয়েছেন, “কী ভাবিস বল দেখি আমাদের? তোদের মত রোবট?" পাশ থেকে রুবি অগ্রাহ্যে ঠোঁট ওল্টায়, "হুঁহ, আমাদের মত রোবট হলে বর্তে যেতে! দেড়কোটি কবিতা দেড়ঘন্টায় পড়ে, বেছে এক্কেরে ফাইনাল লিস্টি করে দিতুম, ফেসবুকে তুলে দিতে পাত্তে!" "কীইইই? রোবট বাছবে কবিতা? সাহস তো কম নয়? আরেকবার বল দেখি?" কবিতা সম্পাদক বিলক্ষণ চটেছেন। "একশোবার বললেও তুমি বুজবে না। এমন হাঁদা তোমরা মানুষগুলো, কী আর বলব!" রাবেয়া এবার আসরে নেমেছে। ধাতবকণ্ঠে সতেজে শোনায়, "বলি, বেছে নেবার কিচু নিয়ম তো আচে, না কি? তো ওগুলান প্রোগ্রাম করে একবার ঢুকিয়ে দিলেই তো হয়! ওই যে গাধার গাধা রবি, সেও তো তাহলে বেছেবুছে দিতে পারে, এডিট করে দিতে পারে!" "অ্যাই, অ্যাই, আমি গাধা?" রবি তেড়েফুঁড়ে উঠেছে। রেবা তাকে টেনে মাটিতে বসায়, "রাবেয়ার কথায় চটিস কেন? রোবট কখনো গাধা হয়? মানুষই গাধা। নইলে আমরা থাকতে নিজেরা খেটে মরে? নে, বোস, পিঠে খা।" রবার্ট এতক্ষণ একটাও কথা বলেনি। এবার মিটিমিটি হাসতে হাসতে বলে, "গাধা হলেও মানুষের রান্নার হাতটি কিন্তু খাসা! কেমন পাটিসাপ্টা আর মালপোয়া বানিয়েছে বল একবার? সঙ্গে আবার নলেন গুড়ের নাগরি! অভিব্যক্তির রান্নাঘর থেকে নিয়ে এসেছি। চল, জমিয়ে খাওয়া যাক!" "হ্যাঁ হ্যাঁ, আমরা পিঠে খাই, তিন সম্পাদক ততক্ষণ বাছাবাছি আর এডিটিংএর কাজগুলো সেরে ফেলুক।" রুবি সায় দেয়। সংবাদে প্রকাশ, এরপর অভিব্যক্তির কবিতা সম্পাদক মূর্চ্ছা গেছেন। অন্য দুই সম্পাদিকা মাথায় ঘড়া ঘড়া জল ঢেলে তাঁর চৈতন্য ফেরাতে ব্যস্ত। এদিকে পত্রিকা বেরোতে দেরি হয়ে যাচ্ছে! পৌষ চলে গেল, মাঘও যায় যায়! অবস্থা দেখে রোবটবাহিনী দয়াপরবশ হয়ে অভিব্যক্তির ভার নিজেদের হাতেই তুলে নিল। উদ্যোগী হয়ে প্রকাশ করল 'অভিব্যক্তি পৌষালি ২০২২' সংখ্যা । বন্ধুরা পাঠপ্রতিক্রিয়া পাঠিও রোবোদপ্তরে। তিন সম্পাদকের দপ্তরে খবদ্দার নয়! তাঁরা উত্তর দেবেন না। ইতি - অভিব্যক্তির সম্পাদকমণ্ডলী অদিতি ঘোষদস্তিদার সংগ্রামী লাহিড়ী অমিত চক্রবর্তী